বিস্ময় আর গৌরবে গড়,
আকাশ ছোয়া বাড়ি?
তোমাদের কল, পাখিদের ঢল,
দুটোতেই যেন আড়ি।
আমি গেয়েছি মণি-মৃত্তিকা সম জমিনের চির জয়গান,
তোমরা হেনেছ সে জমিন ভেদি ইট-পাথরের প্রাণ।
আমি নদের প্রেয়সী নদীকে দেখেছি,
বয়ে বয়ে ক্ষয়ে যেতে,
পরিশেষে তার ক্ষয়ে যাওয়া রূপ,
মৃত্যুতে গেছে হেরে।
আসমানী মেঘে সেজেছিল কবে,
গুনে গুনে দিন নদে পৌছবে।
তার আলতা চরণে বেড়ি পরায়েছ,
দিয়েছ কালোতে ভরে।
আমি দেখেছি মৃগকে,
মায়াবাস তার চির শান্তির তরুছায়।
হঠাৎ কখনো তোমাদের হানা,
কত ক্ষতসম হয়নিতো জানা,
যেন থরকম্পন হৃদময়।
এবার আকাশী পাড়া সফেন শাড়িতে
রয়েছে বারিধি চক্ষু মেলিয়া।
তারও অপেক্ষা কবে সে স্রষ্টা,
সৃষ্টিতে দেবে ধরা।
যাবে নাকি সেথা?
সেখানেও যাবে?
বারিধি সম পাহাড় বানাবে?
হায়!
শংকিত হৃদে অবশেষে ভাবি,
এ না হয় মোর নির্ভীক দাবি।
কিন্তু পাথারে-পাথরে মিছেমিছি ভাব,
তার মাঝেই তো প্রাণের অভাব।
কেমনে আনিবে কংক্রিটে প্রেম!
সেতো রূপালী রাতের সমুদ্র সফেন।
Views: 83