নিমগ্ন চাঁদ
পূবের জানালা গলে ঢুকে যায়
অবাক জোৎস্না,
শরমে মরে
জোনাক পোকারা,
দীঘির বুকে ভাসে নিমগ্ন চাঁদ
উত্তরের বিকেল
উত্তরের ছাদের কার্নিশ ঘেঁষে,
লাউয়ের ডগাটি ছুঁয়ে আছে শুভ্র রৌদ,
লকলকে ডগাটি যেন ষোড়শী তরুণী,
বিকেলের রোদের সাথে চলছে প্রণয়।
স্তন
স্তন দেখে কেউ মাতৃত্ব খুঁজে,
কেউ খুঁজে অশ্লীলতা,
আবার কেউ কামুক হয়ে উঠে শ্লীলতায়।
একই অঙ্গের কত রূপ, কত ব্যথা।
বাষ্পীয় ফাগুন
গুমোট মেঘমালা,
রাত ভোর,
ভিজে গেছে দুচোখ..
বর্ষায় ভেসে গেছে
মলিন হৃদয়,
বিবর্ণ বসন্তে বাষ্পীয় ফাগুন…
কবি ও কবিতা
কবিও গর্ভবতী হয়,
দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া হৃদয়ের কান্না গুলো
আন্দোলিত হয়ে সৃষ্ট হয় প্রসব বেদন,
জন্ম হয় নবাগত কবিতা।
কবিদেরও মা হওয়ার আজন্ম স্বাদ।
ঈপ্সিত অভিলাষ
সময়ের হাত ধরে যতদূর যাওয়া যায়,
হেঁটে চলি ততদূর।
বুনে চলি সময়ের নীল রঙ ঘুড়ির আঁচল,
আকাশে উড়িয়ে দেই একরাশ ফানুস।
তারপর….
তারপর হয়ে যাক তোমার আমার দেখা,
নীলেরা তখন নীলাচল বুনবে,
সময় খুঁজে পাবে সীমান্তহীন পথ,
পথিক খুঁজে পাবে সেই বটছায়া,
যা সে খুঁজে ছিল এতদিন ধরে।
রাতের অন্ধকার খুঁজে পাবে জোস্নার আলো,
নদী খুঁজে পাবে চলার গতি,
প্রজাপতি খুঁজে পাবে ফুলের বাগান।
আর আমি খুঁজে পাবো সেইজন,
যে আমার ভীষণ স্বজন।
চৌচির
দুমড়ানো মুচড়ানো কান্না গুলোও
জমা পড়েছে রুমালের সুতোয়,
সময় অতিক্রান্ত হচ্ছে আর আমি
চৌচির হচ্ছি বার বার।
নক্ষত্রের আলাপন
সময় রাত বারটা এক,
টুপটাপ নিভছে জানালার বাতি,
টুকটাক আলাপনের শব্দে,
নীরবতা ভাঙছে বার বার।
মশারা ভয় ও আব্রু কাটিয়ে
মশারির ভেতরে দেখছে আদিমতার খেলা,
শীৎকার আর গির্জার ঘন্টা বেজে চলেছে মিহি সুরে,
নক্ষত্ররা গুনছে পৃথিবীর বাতি।
বেদনা তুমি কেঁদোনা
গতকাল রাতে মৃত্যু হয়েছে আমার,
রাত একটা পঁয়তাল্লিশ মিনিটে,
আম্মা তখন বেঘোরে ঘুমাচ্ছিলেন পাশের রুমে।
মানুসিক কিছু চাপ আমাকে সহযোগিতা করেছিল
অনেকদিনের পড়ে থাকা ঘুমের ঔষুধ গুলো গিলে নিতে।
বেদনা শূন্যতায় চিলের মতো ডানা মেলে উড়ছে।
মানুষ
এখানে গলিত লাশ
কবর দেওয়া হয়নি আজও
আমার পায়ের পাতায় লেগে গেছে
লাশের গলিত…।
এখানে এসোনা তুমি
ওরা মানুষ নামের হিংস্র জন্তু,
ওরা খিদের জ্বালায় খায় আপন শব,
অতঃপর ওরাও মানুষ…..।
Views: 230