আজ তার কথা বলতে এসেছি।
ঐ যে পাড়ার বখাটে ছেলেটা যার ওড়নায় টান দিয়েছিল,
সিটি বাজিয়ে চলতিপথে আটকে দিয়েছিল পথ!
প্যাডেলে চালিয়ে পিছু পিছু এসে গুঁজে দিয়েছিল ফুল হাতের মুঠোয়,
ছুঁড়ে মেরেছিল প্রেমপত্র সবার সামনে।
আজ তার কথা বলতে এসেছি।
সুশ্রী হবার অপরাধে যার জন্য ঢিল পড়তো বরই গাছে,
নারী হবার অপরাধে যার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতো কয়েক জোড়া চোখ।
কোমলতার প্রলেপ ছড়ানো অবয়বে গেঁথে দিতো অপমান।
লাজুক! লজ্জাবতী ফুল! যার ভূষণ লজ্জা হবার অপরাধে একদিন ছিঁড়েখুঁড়ে খেয়েছিল গুটিকয়েক মানুষের মত অমানুষ।
আজ তার কথা বলতে এসেছি।
ঘরে যার হয়নি ঠাঁই ; সমবেতকণ্ঠ বলেছিল.. ছিঃ ছিঃ!
দীঘল চুলের মুঠিতে চলেছিল কাঁচির বাদ্য,
মুখে লেপে দেওয়া কালিমাময় অবয়বে সে হয়েছিল নতমুখী আরো!
আজ তার কথা বলতে এসেছি।
লজ্জায় মরেছিল যে; খুবলে খাওয়া শরীর নিয়ে নষ্ট কষ্টে একদিন সে হয়েছিল মক্ষীরানি!
মহল্লার সেই সমবেতকণ্ঠ ; একে একে আসে যায় ঘরে।
সে নষ্টদের দখলদারী করেছিল।
সব নষ্টরা আজ তার ঘরে চুপিচুপি রাতের আঁধার খোঁজে,
ফিসফিসিয়ে কথা বলে আর মদিরতায় ডোবে।
আজ তার কথা বলতে এসেছি।
ভ্রষ্ট পুরুষের নষ্ট হবার জন্য সে সাজিয়ে বসে আছে বাথান,
মৌমাছির গুঞ্জন চারিদিকে ; অজস্র মানুষের নষ্ট চেহারাটা দেখবে বলে সে আজো নষ্ট জীবনকে বলে… রসো!
সমাজ,সংসার… আজ নাকি রসাতলে!
নষ্ট পুরুষের জন্য আজ সে সিটি বাজিয়ে রঙ্গ দেখে!
রঙ্গিলা জীবনের তাপিত ক্ষণের মধ্যে নোনাজল টুকু নিজের জন্য রাখে।
©ফারহানা নীলা
০৪/০৮/২০২০
Views: 78