প্রিয় তুমি,
শর্ত দিয়ে ভালোবাসা যায় না জানি। তবুও আজ তোমায় শর্ত দিচ্ছি, তাই তো লিখছি পত্রখানা। আমি তোমায় ভালোবাসতে পারি একটি শর্তে, যদি আমায় আজন্ম ভালোবাসো তুমি।
যে বিশ্বাসে, ছোট্ট একটি শব্দে আপন ঘর পর করে, পরের ঘর আপন সুবাসে সুবাসিত করে তোলে বঙ্গললনারা। বাংলাকে ভালোবেসেছিল বীর বাঙালিরা, ভালোবেসেছিল জীবনানন্দ, তার প্রেমিকমন আওয়াজ তুলেছিল, বলেছিলেন কবি, সুরঞ্জনা… ” ফিরে এসো এই মাঠে, ঢেউয়ে, ফিরে এসো হৃদয়ে আমার।”
তুমিও আমায় দিও নাকো যেতে দূরে ঝাঁ-চকচকে শহরে। যেথায় ভালোবাসার বিশ্বাস, সুবাস, ইট, কাঠ,পাথরের ফোকল গলে বেরিয়ে পড়ে করুণ রাগে। তাই তো দিচ্ছি শর্ত… রেখো আমায় সবুজের গালিচায় তোমার প্রেমের লালাভ রঙে, রইবো নিখাদ প্রেমোসুরে।
আমি তোমাকে ভালোবাসতে পারি গভীরে যেয়ে সেই শর্তে, ইলিশ যেমন ভালোবাসে গভীর পানি
অবাধে বিচরণ ফুলকা ছড়ায়ে ছড়ায়ে অপার আনন্দে নিমগ্ন প্রেমে।
সেই রূপে রূপকার হয়ে তুমিও যেন আমার দেহে পুষ্প যুগলে আনন্দে মেতে উজাড় করো নিজেরে।
হুম, আমি তোমায় ভালোবাসতে পারি একটি শর্তে, ডলফিনের বেগে মনের সাগরে সাঁতরিয়ে আমার হৃদ পাতালে শৈল্পিক নৃত্যে তাল, লয়, সুরে নাচতেও পারো আমার বুক জমিনে।
তবে, তোমায় আমি ভালোবাসতে পারি না এই শর্তে, রাজাকার, আলবদর আর বকধার্মিক
ক্ষমতা লোভী অনৈতিক রাজনীতিবিদ, যে ভাবে বাংলা মাকে ভালোবাসে। তুমি যদি তাদের মতো ভালোবাসো আমাকে, তবে, ঘৃণা করি তোমাকে তোমার প্রেম ভালোবাসাকে।
হায় প্রশ্বাস পড়বে না তোমার তরে.. আজন্ম… জনম… জন্মান্তরে….।
ইতি –
“বাংলার আমি”
Views: 171