ফারজানা বর্ষার দু’টি কবিতা
রুদিত ক্ষুধা
ফারজানা বর্ষা
অমন বিকট হাসছ কেন পূবের আলো?
ঐ যে দেখো অভুক্ত শকুন উড়ে
অথচ জমিনে কত মৃত সৎকারে
ওর হিংস্রোক চোখে বহুকাল ক্ষুধার হাহাকার
কণ্ঠে ক্রন্দন চিৎকার, “এ শব কার? এ শব কার?”
সে সব দেহ কিছু পরেই গলিত অথবা ভস্ম
নীল নিথর হৃদ পাথর
বেঁচে থাকা ধিক্কারে অভুক্ত হাহাকারে
একদিন ওরাও —
“এ সব কার? এ সব কার?”
▫
ছাইতান ফুল
ফারজানা বর্ষা
ছাইতান ফুল,
তোমার নামে নামে জড়ানো নিঃশ্বাস
আজ অভ্যস্থ খুব।
এই হাত নয়, আগুন হৃদে দগ্ধ উনুন জ্বলে রোজ দুপুরে,
রোজ প্রভাতে পুড়ে যাওয়া একটি রুটি,
রুটিটি বলে যায় অবিরাম-
“তোর আমার পুরোনো নীল খাম, নীল খাম খুলে দেখ, আমি আছি, তোর-আমার ঠিকানায়, খুব কাছাকাছি।”
যখন কারো বিকেল অলস ঘুমে, আমায় তখন রৌদ্র চুমে। বলে-
“দীপ্ত আলোয় রাঙাও তোমার আলয়,
ঝিরিঝিরি মেঘআকাশ তোমার যে নয়,
তোমার যে নয় বিজলি চিৎকার ভয়,
নিয়েছ ভরপুর সঞ্চয়”
আমি আবার সন্ধ্যাবাতি, আঁধার মায়ায় আঁধার ঢাকি। তারার দেশে তারা গোনা, সপ্তর্ষির স্বপ্ন বোনা, আমায় সাজে?
ছাইতান ফুল,
তোমার সুবাসে একদিন স্বপ্ন বোনা। সেই বোনা স্বপ্নের নোনাজলে আমি একটা নৌকা ভাসাই, পুরোনো দিন ধোয়া পানিতে নৌকা ভাসাই। নৌকা বোঝাই আমার সময়- সকাল, দুপুর, বিকেল, রাত।
সে স্রোতে আজ বড় অসহায়।
Views: 148