উপন্যাস অথচ রবীন্দ্রনাথ নাম রেখেছেন ‘শেষের কবিতা’ l উপন্যাসটির যবনিকাও হয়েছে প্রাণস্পর্শী অথচ তাৎপর্যপূর্ণ একটি কবিতা দিয়ে l ওই কবিতাটি প্রাণপূর্ণ হয়ে ওঠে তখনই যখন পাঠক এ-উপন্যাস গভীর মনোনিবেশের সঙ্গে তার পাঠ নিঃশেষ করে l
বিলেতফেরত ব্যারিস্টার অমিত রায় প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত এবং রোমান্টিক যুবক l তর্কে প্রতিপক্ষকে হারাতে সিদ্ধহস্ত l এই অমিত একবার শিলং পাহাড়ে গেলো বেড়াতে l আর সেখানেই এক মোটর দুর্ঘটনায় পরিচয় ঘটলো লাবণ্যর সাথে l যার পরিণতিতে এলো প্রেম l কিন্তু অচিরেই বাস্তববাদী লাবণ্য বুঝতে পারলো অমিত একেবারে রোমান্টিক জগতের মানুষ যার সঙ্গে প্রতিদিনের সাংসারিক হিসেব নিকেশ চলে না l
ইতোমধ্যে শিলং-এ হাজির হয় কেটি l হাতে অমিতের আংটি দেখিয়ে তাকে নিজের বলে দাবি করে সে l ভেঙে যায় লাবণ্য-অমিতর বিবাহ-আয়োজন l শেষ পর্যন্ত অমিত স্বীকার করে যে, লাবণ্যের সাথে তার প্রেম যেন ঝর্ণার জল প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য নয় l আর কেতকীর সাথে সম্পর্ক রাখা জল–প্রতিদিন পানের উদ্দেশ্যে ll
তব অন্তর্ধানপটে হেরি তব রূপ চিরন্তন l
অন্তরে অলক্ষলোকে তোমার অন্তিম আগমন ll
লভিয়াছি চিরস্পর্শমণি
আমার শূন্যতা তুমি পূর্ণ করে গিয়াছ আপনি l
জীবন আঁধার হল, সেই ক্ষণে পাইনি সন্ধান
সন্ধ্যার দেউলদীপ চিত্তের মন্দিরে তব দান l
বিচ্ছেদের হোমবহ্নি হতে
পূজামূর্তি ধরি প্রেম দেখা দিল দুঃখের আলোতে l
C:সারা ফেরদৌস
Views: 46