“জবানবন্দী ”
——————।
বলা যায় পৃথিবীটা সুন্দর,সুন্দর এই বেঁচে থাকা
আরো সুন্দর মানুষের শৈশব!
শিশু জীবন অমৃত সমান।
বলা যায় রৌদ্রতেজে অনেক মিষ্টতা আছে,
বর্ষার গানে নিমগ্ন যৌবন মদির নিশি যাপন,শীতের
শরীরে প্রণয় উষ্ণতা শুধু- বসন্তে অবাক জীবন!
বলা যায় পূর্ণিমা শুধু স্বপ্ন প্লাবন,অমাবস্যায় অন্ধকার বিস্ময় সুন্দর,আরো বলা যায় যুবক মানুষ শরতের মতো- বধূ বালিকা সব হেমন্ত কুমারী!
এমন অনেক কিছু বলা যায়।আয়নায় নিজেকে দেখে
মনে হয় আমি শুধু শেষ অসুন্দর!
পৌরুষ দীপ্ত পুরুষ হয়ত সকলে-হয়ত গালিচায় আছে
বিশুদ্ধ সুন্দর!
তবু বলে রাখি- আমি অন্ধকারের কালপুরুষ! আমার
নৈমিত্তিক যাপিত জীবন শুধু প্রশ্নবোধক। আমার মেরুদন্ড আদৌ আছে কিনা বুঝিনা,
বোধ ব্যাকরণে লুকোচুরি খেলতে শিখিনি-অকপটে বলতে পারি আমি নষ্ট মানুষ!ক্ষুধার রাহুগ্রাস আমাকে
বিপথগামী করেছে- আমি কষ্টের কোলে কালো শিশু
চিনি।
আমি আসলে বলতে শিখিনি ভালো আছি।
তোমাদের সুধী সমাবেশে নান্দনিক শব্দ চয়নে ধ্রুপদী
জীবনে ব্যাখ্যা শুনেছি-নষ্টামির একটা শেষ আছে!থাক
মানছি আমি বোধে দরিদ্র।
আমি বেপথে হেঁটে হেঁটে ভৈরবীর গল্প শুনেছি তোমাদের বিকশিত বোধে নির্মাণ পথকলির গল্পগুলো
হৃদপিন্ডের হাপরে জমা-খুব অহংকার সেখানে নেই!
সুসভ্যতার নগ্নতা? থাক এটা আমি ব্যক্তিগত মেনে নিচ্ছি।
সুতরাং আমার অসুন্দরে ঘৃণা রাখতে পারো!
কেননা জোছনা স্নানে পরিশুদ্ধ মানুষের মতো আমার
ধ্রুপদী ভাবগাম্ভীর্য নেই,
উলংগ শব্দে বলতে পারি নিষিদ্ধ নারী যতটা পবিত্র-
আমি তার চেয়ে বেশি এবং ততোটাই অপবিত্র এবং
অসুন্দর!
Views: 19