স্রষ্টা’র হাত ধরে এসেছিল মৃত্যু এই পৃথিবীতে,
সে তো এক সুন্দরী মায়াবী।
সে তো এই দেহ ওই দেহের মধ্যে বিরাজিত।
সে আছে সবিতে,সেই সত্য বর্তমান।
শরীরের বাইরের কোষে মৃত্যুর ডাক
আর অন্তর কোষে নিজ তমার
মৃদুস্বরে বেঁচে থাকার আর্তনাদ।
মৃত্যু সে দিনই হয়েছিল
যে দিন এই পৃথিবীর বুকে
এক সুন্দরী রমণী রূপে জন্ম।
মৃত্যু সে দিনই হয়েছিল
যে দিন সাত ঋতুতে অষ্টম ঋতুর জন্ম।
সে মৃত্যুকে বন্ধুর মত বরণ করেছিল,
যে দিন যৌবনের প্রথম বিশ্বাসের চুমুতে
এক অবিশ্বাস পুরুষের নিঃশ্বাসের কার্বন
তার নিঃশ্বাসে গেছিল চলে
সেই ক্ষণে মৃত্যু হয়েছিল তার কোষের।
তবুও সেই মৃত কোষে বিশ্বাসের
বীজ বুনন করে যায়।
মৃত্যু সে দিনই হয়েছিল
যে দিন বিশ্বাসের স্পর্শে নিজেকে
উজাড় করে দিয়েছিল নকল প্রেম ঘরে।
তার অন্তরে ছিল কয়েকশ হাজার সুখ,
ছিল প্রাণ খোলা সবুজের জোছনার আলোক চিত্র।
আজ সেই সুখ মুখে কয়েকশ দুঃশ্চিন্তার পটচিত্র।
মৃত্যু সে দিনই হয়েছিল
যে দিন তার নিজের পরিচয়
পরিবর্তন হয়ে যায় এক কবুলে।
সে চলে যায় অন্য কুলের পরিচয়ে।
সে আর আপন থাকে না নিজের ভিটার প্রতি।
সে তখন নিজের ভিটায় নিজেই মৃত।
কী ভাবছো? আমি কী সব আজগুবি লিখছি।
লিখছি কারণ তোমার তমা বারংবার পুড়েছে,
সে তো নিষ্পাপ, সে তো তোমার বিশ্বাসে ফুটছে ঠিক গোলাপের মত।
কিন্তু ঠিক সেই সময় চোখের বৃষ্টিতে
তোমার তমার হত্যা হয়েচ্ছে বারংবার।
তোমার তমার ইচ্ছা গুলি এখনো লুকিয়ে আছে
ওই চোখের কোটরে।
সময় হলে খুলে দেখো
তমার কতই না স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি।
তমার চিবুকে এখনো যে প্রেমরস সাজে,
সে খুশির বার্তাতে নাচে ঠিক ময়ূরীর মত,
তমা হারিয়ে যেতে চায় দুটি ঠোঁটের উষ্ণতার স্পর্শে।
তমা কতই না নতুন স্বপ্ন আঁকে।
কিন্তু সব রেখার চাপে
সে নিজেকে খাঁচায় বন্দি করেছে।
কিন্তু সে বাঁচতে চায়!
হাত ধরে সমুদ্রের পাড়ে হাঁটতে চায়,
সে দেখতে চায়
কাঞ্চনজঙ্ঘার গায়ে সূর্যের সাত রামধনু।
সে খেলতে চায়, সে উড়তে চায়,
সে প্রেম করতে চায়,
সে বলতে চায় তার প্রিয়কে ভালোবাসার কথা।
কিন্তু, কিন্তু
সে ভয় পায়!
সে নিজেই স্বপ্নের চুরি ভাঙে
সে শুধু একাই আছে
তাই সে মৃত্যুর আতঙ্কে আছে।
এই এলো মৃত্যু!এই এলো মৃত্যু!
এই এলো….
সে ভুলে গেছ তমার কথা,
সে শুধু বাহ্যিকতার চাদরে আবদ্ধ।
Views: 25