স্কুল যখন ইস্কুল
__নীল__
কবিতা,
অদৃশ্যে অবস্থানরত সুদৃশ্য তরল,
কবি, এই অদৃশ্যমান সুদৃশ্য তরলকে
রূপ-রস, গন্ধ-স্বাদ, বর্ণ ও স্পর্শ দিয়ে
অপরূপ রূপবতী করে থাকেন ।।
তরল কবিতা সবসময়ই কবির মনের মতো হয়,
কবি যেমনি নাচান কবিতা তেমনিই নাচেন ।।
কবি যদি তরল কবিতার কাব্যিক রূপায়ণে
শৈল্পিক নৃত্যে নাচাতে না পারেন,
এটা কবির ব্যর্থতা কবিতার নয় !!
কবি,
কাব্য বুঝেও লিখতে পারেন,
অথবা কাব্য অনুধাবন করেও লিখতে পারেন ।।
যদিও, কাব্য বোঝা আর কাব্য অনুধাবন করা
এক বিষয় নয় ।।
কোন কোন সময় কবি,
কবিতার নিয়ম মেনে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে
বিচার বিশ্লেষণে প্রাণবন্ত কবিতা সৃষ্টি করেন……
এটাই কবিতা,
এটাই সাহিত্য ।।
আবার কোন কোন সময় কবি কঠিন নিয়ম ভেঙে
মনের গহীন থেকে আত্মার অব্যক্ত কথাগুলো
কাব্যে কাব্যশৈলীতায় প্রকাশ করেন ।।
অর্থাৎ কবি নিয়ম করে নিয়ম ভেঙে যে অনন্য
কাব্য রচনা করেন……
এটাও কাব্য,
এটাও সাহিত্য ।।
আবার কোন কোন সময় কবি,
কাব্যিক নিয়মের তোয়াক্কা করেন না,
অথবা নিয়ম বোঝেন মানেন না,
অথবা নিয়ম হয়তো বোঝেনই না !!
কিন্তু সমাজ ও জীবনের বাস্তব চিত্র
অনিয়মের বৃত্তে কাব্যের কাব্যকথায় নির্মল
ভাবে রূপায়ণ করেন,
যা পাঠকের হৃদয়ে দাগ কাটে,
বা, পাঠকের মনের মণিকোঠায় অবস্থান
নেয় চির অম্লানে……
এটাও কবিতা,
এটাও সাহিত্য ।।
স্কুল জীবনে “ইস্কুল” বানান লিখে কতোই না
নির্মম পেটা খেয়েছি স্যারের জোড়া বেতের,
পরীক্ষার খাতায় পেয়েছি বড় বড় গোল্লা,
তথাপি “ইস্কুল” লেখা থেকে ক্লান্ত হইনি কখনো ।।
বড় ক্লাসে গোল্লা পাওয়ার লজ্জায় আর
নেওয়া হয়নি এই তিক্ত অভিজ্ঞতার স্বাদ ।।
অথচ কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,
এই “ইস্কুল” বানান লিখেই বিশ্ব জয়ের
মুকুট পরে হয়েছেন অমর ও অক্ষয়,
হয়েছেন সাহিত্যে নোবেলজয়ী
অমৃত ধ্রুবতারা !!
__নীল কবিতা__
Views: 21