আব্বা
-শাবানা ইসলাম বন্যা
“স্মৃতিকথা”
সময়কাল ১৯৯৪। আমি তখন অর্নাস প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তবে সংসারী। ছোট্ট কন্যাকে নিয়ে আমাদের তিনটি প্রাণের ছোট্ট সংসার। পুতুল খেলার মতোই। একমাস নিজের সংসারে তো পরের মাস বাপের বাড়ি। কারণ পড়াশোনা করি নিজের শহরের সরকারি কলেজে। আগের বছর যখন HSC পাশ করলাম তখন আব্বাই বললো, তুমি এখানকার সরকারি কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দাও। এখন তোমার যা সিচুয়েশন ভার্সিটিতে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। অথচও আম্মার কাছে শুনেছি, আব্বা নাকি তার প্রতিটি মেয়ের জন্মের সময় প্রথম কোলে নিয়ে বলেছিলেন, “আমি যখন সেই যুগে ভার্সিটির মাঠে পা রেখেছি আমার প্রতিটি মেয়ে ভার্সিটির মাঠে পা রাখবে। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে।
আমার আব্বা রাজশাহী ভার্সিটিতে আইন বিষয়ে পড়েছেন। ধর্মভীরু এবং সংস্কৃতিমনা ছিলেন। ভীষণ উদার, বন্ধুপ্রিয় ও মানব দরদী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য সম্পাদকও ছিলেন। স্বদেশ প্রেম তার হৃদয়ের বন্দর প্লাবিত করতো। সেই সময় মুসলিম লীগের রোষানলে পড়েছেন বহুবার। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তার নিজ গুণাবলীর জন্য। আওয়ামী লীগের হয়ে বিপুল ভোটে জিতে রাজশাহী ভার্সিটির ভি,পি নির্বাচিত হন। সেই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভি, পি ছিলেন তোফায়েল আহমেদ। আব্বার ডায়েরিতে এভাবে লেখা আছে “তোফায়েল ভাই সহ আমরা সবাই ফরিদপুর রওয়া হই রাজেন্দ্র কলেজে একটা জনসভার উদ্দেশ্যে।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক মঞ্চস্থ হলে আব্বাকেই নাকি নায়ক হতে হতো। এটা শুনেছি আমি “শান্তি” স্যারের গল্পে। স্যার বলেছিলেন, আমি তো দেখতে কালো আর চেহারা বোধহয় চাকর টাইপ। তাই তো চাকররের পাঠ আমিই পেতাম। আর ঐ যে ওর বাপকে সবাই নায়ক হিসেবে চাইতো, নায়কের পাঠ পেতো, আমার দিকে আঙুল দেখিয়ে বলতো স্যার। আমার সেই আব্বা আমাকে কলেজে অর্নাস পড়ার পরামর্শ দিলো নানাদিক চিন্তা করে। আমি ২০১৯ এর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিহ্ন মেলায় গিয়ে আব্বার ডিপার্টমেন্ট ঘুরে ঘুরে আব্বার যৌবনকাল হাতড়ে ফিরেছি, খুঁজেছি পদধুলি। যদিও আমার পড়াশোনা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে তবুও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে ভেতর থেকে টানে।
আমার আব্বা একজন মুক্তিযোদ্ধা। অথচও আজও সে সার্টিফিকেট বিহীন রয়ে গেলেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সার্টিফিকেটের আশায় মুক্তিযুদ্ধ করেননি। আব্বাও এ বিষয়ে উদাসীন ছিলেন। কিন্তু তার নামের সিল সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকায় বর্তমানে আমরা চেষ্টা করছি। মাঝে মাঝে খুব লজ্জা হয় যে, একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রমাণ দিতে দিতে হয়রান হতে হয়। অনেক বার হাল ছেড়ে দিয়েছি আমরা কিন্তু যারা জানেন তারাই আবার এগিয়ে যেতে বলেন। ফাইনাল সনদ এখনো হাতে আসেনি। ঝুলছেই স্বদেশ প্রেমের সেই নাম গিয়াসউদ্দিন আহমেদ। পরবর্তীতে হজ্জ করেন এবং আলহাজ্ব গিয়াসউদ্দিন আহমেদ নামেই পরিচিত ছিলেন।
বাংলাদেশ অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের পশ্চিম জোনের “প্রাণ সাগর” ক্যাম্পের এডভাইজার কমিটির সম্পাদক ও “সামড়া” শরণার্থী ক্যাম্পের সভাপতি নিযুক্ত হন আমার আব্বা। খানপুর সেক্টরে সংগঠকের দায়িত্বের পাশাপাশি অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সশস্ত্র যুদ্ধও করেন। আম্মার কাছে শুনেছি, আব্বা নাকি রোজ রাতে বেরিয়ে পড়তেন। আব্বা ডাক্তার না অথচও আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাও দিয়েছেন।
বহু পরের কথা। আমার কৌতূহলী মন ছোট্ট কাঠের বাক্সটা কেন আম্মা আলমারিতে রেখেছেন। একদিন খুলে দেখায়। হোমিওপ্যাথির শিশি দিয়ে ভরা। যুদ্ধের সময় নাকি সবাইকেই সব ধরনের ট্রেনিং দেয়া হতো। কার কখন কি কাজে লাগে। যুদ্ধের পরেও নিজ জেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আব্বা।
আব্বা স্টুডেন্ট লাইফ থেকেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গরীব ছাত্রদের নিজের পাঠানো টাকা থেকে সাহায্য করেছেন এবং নিজের যখন টাকা কম পড়ে যায় তখন বেগুন ঘন্টো ভাত বা ভর্তা ভাত খেয়ে থেকেছেন। তবুও বাড়িতে জানাননি যে বাড়তি টাকার প্রয়োজন। এই গল্পটিও শুনেছি কাজীদাদার কাছে। উনি লাহোরে পড়তে গিয়েছিলেন আব্বার টাকায়। আব্বাও তখন ছাত্র। নিজের খরচের টাকা থেকে তাকে দিতেন। স্বাধীন দেশের মাটিতে শ্বাস নিতে নিতে হঠাৎ আব্বার মনে হলো, আমি তো ক্ষমতা চাই না, মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। তার জন্য রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই। দেশ এখন স্বাধীন। এখন শুধু মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। দিনাজপুর শহরেই বসবাস আমাদের। কিন্তু আব্বা পড়ে থাকতো আমাদের গ্রাম মুরাদপুরে।সেখানে স্কুল, এতিমখানা মাদ্রাসা, মসজিদ সবই নিজের জমিতে প্রতিষ্ঠা করেন। কার ছেলের পড়ার খরচ লাগবে, কার মেয়ের বিয়ের খরচ লাগবে এসব নিয়ে থাকতেন।
অক্টোবর মাস আমার জন্মের মাস। আনন্দের ঝর্ণাধারা ছিলো ১৯৯৩ পর্যন্ত। পরের বছর থেকে এ মাসটি শুধুই নোনা প্লাবনের।
অক্টোবর মাসের ২৯ তারিখ ছিলো দিনটি। ঐদিন আমি বরের চাকুরির স্থলে ছিলাম। যে বাসায় ভাড়া থাকতাম সেই চাচি আমাকে বৌমা ডাকতো। খুব আদর করতো। তার মেয়েদের বয়সী আমি। তার ছোট মেয়েটি রোজ বিকেলে আমার সাথে বসে গল্প করতো। ঐদিন আমার অকারণে মন খারাপ দেখে বললো, কী হলো ভাবী ভাইয়ার সাথে রাগ করেছো? আমি বললাম নাতো। এমনি ভাল্লাগছে না। নিজেও বুচ্ছিনা কেন জানি মন ভালোই লাগছে না। মেয়েটির নাম ছিলো শাহিন। আমাকে পটানো শুরু করলো, জানো আজ না তোমার প্রিয় নায়কের ছবি আছে। আমার কানে কিছুই ঢুকছে না দেখে চিৎকার করে বললো, প্রসেনজিৎ এর ছবি হচ্ছে ভাবী….
অন্য দিন হলে দৌড়ে দু’জনে মিলে টিভি খুলে দেখতে বসতাম। ঐদিন মনমরা হয়েই রইলাম। আমার নাকে আতরের গন্ধ আসছে কোথা থেকে যেন। আমি ওকে বললাম। ও পেলো না। সন্ধ্যা হলে বাসায় ঢুকে বাথরুমে অজু করার সময়ও পেলাম আবার ঐ গন্ধ। তারপর এলো চয়ন। আমি তো অবাক? সন্ধ্যায় তো ও আসে না। একটু রাত হয়। ও আমাকে শুধু বললো, একটু জরুরি কাজে দিনাজপুরে যেতে হবে, তোমরাও আমার সাথে যাবে। আমি বললাম, হঠাৎ করে এখন কিভাবে গুছাবো? কয়দিন আগেই তো টিউটোরিয়াল দিয়ে এলাম। আবার ক্লাস শুরু হলে না হয় যাবো।
ও কিছু না বলে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো, আব্বা ভারত থেকে ফিরেছে, তোমাকে দেখতে চাইছে।
আব্বা সুস্থ হয়ে ফিরেছে? তোমাকে কি অফিসের ফোনে ফোন করেছিলো?
তখন মোবাইল বাংলাদেশে এসেছিলো কি না আমার জানা ছিলো না। ল্যান্ড ফোনই ছিলো সম্বল। ও, হুম, হ্যাঁ করে উত্তর দিয়ে নিজেই ব্যাগ গোছাতে শুরু করলো।
এর মধ্যে বাড়িওয়ালা চাচি এলো। বললো, যাও গো বউমা তাড়াতাড়ি যাও। বাবা দেখতে চেয়েছে দ্রুত তৈরি হও। দূরের পথ। নইলে সীমান্ত ধরা কঠিন হবে। এখানে তো না, পোড়াদহ যেতে হবে। আমার মাথা যেন কিছুই কাজ করলো না। রওয়ানা হয়ে গেলাম। কুষ্টিয়া শহরে আমরা থাকতাম। ওখান থেকে রাতের ট্রেন ধরতে হলে পোড়াদহ জংশনে যেতে হতো। সীমান্ত ট্রেনে যারা কুষ্টিয়া শহর থেকে যায়, তারা রাত আটটা, নয়টার মধ্যে স্টেশনে গিয়ে পৌঁছে ট্রেন আসার অপেক্ষা করে রাত ১:০০টা পর্যন্ত। কারণ বেশি রাতে ঐ পথে যানবাহন থাকে না আর চোর-ডাকাতের ভয় থাকে। তাই যাত্রীরা সন্ধ্যা রাতেই স্টেশনে গিয়ে অপেক্ষা করে। কী অসহনীয় অপেক্ষা।
আমার ওটাই প্রথম যাওয়া ঐ ট্রেনে। যতো রাত বাড়ে কেমন যেন ভূতুড়ে ভীতি জাগে মনে। গা ছমছম করা রাত ছিলো সেই রাত। আর সারাপথে যেন আতরের ঘ্রাণ পেলাম। ভোরে পৌঁছে গেলাম নিজের শহরে। আমি ভীষণ কল্পনাপ্রবণ ছোট বেলা থেকেই। ভাবলাম আব্বা মনে হয় আমার জন্য গেটে দাঁড়িয়ে থাকবে। অথচ আমার মাথায় নাই যে আব্বা অসুস্থতার জন্য ভারতে গিয়েছিল। দূর থেকে দেখতে পেলাম আমাদের বাড়ির বড়ো গেট খুলে দেয়া হয়েছে। আব্বাকে মানুষ খুব ভালোবাসে। তাই যখন ভারতে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলো তখনও বিদায় জানাতে মানুষের ঢল নেমেছিলো। গেট খুলে দেওয়া হতো এভাবেই। হজ্জে যাওয়ার সময়ও দেখা করতে আসা মানুষের ঢলেও গেট এভাবেই খুলেছিলো। ভেবে নিলাম আব্বা ফিরেছে হয়তো মানুষের ভিড় তাই এভাবে গেট খুলে দিয়েছে। আমি স্পষ্ট দেখলাম আব্বা গেটে দাঁড়িয়ে। চয়নকে বললাম দেখো আব্বা আমাদের জন্য দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু চয়ন তো সত্য টা জানতো। মুখে কিছুই বললো না। রিকশা যতো গেটের কাছে এলো ততো আতরের গন্ধ গাঢ় হলো আর কোরানের সুর ভেসে এলো। আর গেটে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি হলো “ভোটকা চাচা।” মানে আজিজুল চাচা। উনি আসলে পটকা বিক্রেতা অনৈতিক মানুষ ছিলেন। আব্বার সংস্পর্শে এসে পুরো সত্যের সাধক হয়েছেন এবং আব্বার ভক্ত। উনার দোকানের পটকা কিনতে গেলে সবসময় বলতেন, মা’রে তোর বাবা আমাকে পশু থেকে মানুষ বানাইসে।
আব্বার কিডনিতে স্টোন ছিলো। সেই কারণেই কলকাতায় যাওয়া। ওটিতে নেবার আগে আব্বা সিস্টারকে বলেছিলো, “আমাকে ওটির বেডে নিতে পারবেন না। আমি তো চলে যাচ্ছি। আজ ফজরের ওয়াক্তেই তো আমার জানাজা আজমীর শরীফে হয়ে গেলো।”
সেই নার্স দৌড়ে গিয়ে ডাক্তারকে বলে। এবং ওটির দরজার মাঝামাঝি নিতেই আর নেই। ডাক্তার, নার্স হতবাক !!
তারপর আর আর কি…অতবড়ো উঠোন ওয়ালা বাড়িতে ঢোকার তিল পরিমাণ জায়গা ছিলো না। লোকে লোকারণ্য। একটু বেলা হতে মাইকিং হওয়া শুরু। গোটা শহর স্তম্ভিত। স্থানীয় পত্রিকায়ও শোক সংবাদ এলো। আব্বা বনিক সমিতির সভাপতি ছিলেন। শহরের মার্কেট বন্ধ ঘোষণা হলো। শেষ শয়নের জন্য যখন গ্রামের বাড়ির পথে যাচ্ছিলাম আমরা তখন আমাদের গাড়ি গুলো লোকারণ্যের জন্য এগুতে পারছিলো না। আমরা কতটুকু কেঁদেছি জানি না তবে দশ গ্রামের লোক ভেঙে এসেছিলো আব্বাকে একপলক দেখতে আর ভালোবাসার জলে ভেজাতে। মুখে তাদের একটাই কথা ছিলো “এ-তো তাড়াতাড়ি চলে গেলো, গ্রামের বাতি নিভে গেলো।”
আর একটা বিস্ময়কর ঘটনা হলো ঐ এগারোটি গোল্ডেন রঙের বিড়াল। আব্বার খাটিয়া ঘিরে থাকা এবং তাদের নীরব প্রস্থান। আব্বাকে মাটি দেয়ার পরে এত বছরেও একবারও তাদের দেখা যায়নি। বিড়াল গুলো আব্বার যেমন প্রিয় ছিলো তেমনি আব্বাও ওদের কাছে প্রিয় ছিলো। আব্বা কোথাও বসলে ঘিরে বসতো ওরাও। আব্বা অর্ধেক খাবার খেয়েই খাবারসহ পুরো থালা ওদের দিতো।
আব্বার কথা বলে শেষ করতে পারবো না। আজ শুধু আতরের ঘ্রাণের কথা মনে পড়ছে। কোন এক মুরব্বি বলেছিলেন, নিজের কেউ মারা গেলে আতরের ঘ্রাণ পাওয়া যায়। আমার কাছে অবাস্তব মনে হয়েছিলো কথাটা। কিন্তু প্রমাণ হয়ে গেছে কথাটি ১৯৯৪ সালের ২৯ অক্টোবরে কুষ্টিয়ায় বসে সেই ঘ্রাণ পেয়েছি। অথচও আব্বা তখন পড়শী দেশে ছিলো।
অক্টোবর মাসটি আমাদের জীবনে ঐদিন থেকে বিষাদের মাস হয়ে গেলো। অসময়ে আব্বা চলে গেলো অল্প বয়সে। সেই কান্না আজও ফুরায় না। চোখ ভিজে ঝাপসা এখনো। আব্বার জায়নামাজটি আমার কাছে আছে। এখনো সেই জায়নামাজেই নামাজ পড়ি। অনেক সুন্দর সুন্দর জায়নামাজ আছে আমার আলমারীর তাকে। কিন্তু আমি আব্বার জায়নামাজটিই পছন্দ করি বেশি। নামাজ পড়তে পড়তে ক্ষয়ে গেছে তবুও পড়ি। ঐ জায়নামাজ হাতে নিলেই আব্বার ছোঁয়া পাই।
আব্বাকে ভেবেই “কষ্ট” কবিতাটি বহু আগে লিখেছিলাম। ওটা বার বার আব্বার লেখায় দিতে মন চায়।
“অনন্ত ঘুমের শয্যায়
আছো তুমি চির নিদ্রায়।
তোমাকে খুঁজে ফিরে
পাই না তো মানুষের ভিড়ে।
বাবা তুমি আছো মোদের থেকে দূরে
অজানার দেশে অচিনপুরে।
ভুলতে পারিনা তোমায়
মন খারাপে তুমি এসে দাঁড়াও।
অশ্রুতে আঁখি হয় সিক্ত
সব যেন আজ রিক্ত।
হৃদে ব্যথা করি অনুভব
তোমায় ভোলা কী সম্ভব?
স্মৃতিতে ভেসে ওঠো যখন
চোখ ভিজে আসে ক্রন্দন।
২৯ অক্টোবর ২০২২
Views: 32