অপেক্ষা নাকি উপেক্ষা
_________মোঃউবাইদুল ইসলাম বহুরূপী
সুনীল,আমি সেবার কবরস্থানে পোকা হয়ে জন্ম নিয়েছিলাম!
আঠারো বছর বয়সী এক যুবক রেখে গেলো কবরে!
তার চোখ,মুখ, জিহ্বা,ঠোঁট কামড়িয়ে খেলাম।
বেশ্ তৃপ্তি পেলাম,কামড় দিলাম কলিজায়!
হৃদয় থেকে ভেসে এলো “আমাকে খেয়েও না!
এখানে বসত করে আমার প্রিয়তমা।
সুনীল,শ্রাবণে আমি বৃষ্টি হয়ে ঝরছিলাম মুশলধারে!
সতরো বছর বয়সী এক যুবতী তার সুদর্শন দেহ মন সঁপে দিলো আমাতে!
আমি আলিঙ্গনে মাতাল হয়ে চুমু দিলাম তার কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে!
তার চোখ থেকে গরিয়ে আসা জল আমার গলায় আঁটকে গেলো!
সর্প বিষের ন্যায় জ্বলছিলো গলা;বিষাক্ত দীর্ঘশ্বাসে ভেসে এলো প্রেমিকের অবহেলার আর্তনাদ!
সুনীল,শরতে কবিতা হয়ে জন্ম নিয়েছিলাম ” কবি’র” মস্তিষ্কে!
কে জানতো কবির সবটা জুরে এতো অবহেলা, আর্তনাদ, অপেক্ষা, দুঃখ থাকবে!
চেয়েছিলাম সুখ হয়ে জন্ম নিব তার ছন্দে!
অথচ,সুখ হতে গিয়ে দেখি কবি কাঁদছে শোকে!
সুনীল,গত বছর কাঠগোলাপ হয়ে জন্ম নিয়েছিলাম বৃক্ষের সৌন্দর্য হয়ে!
বারো বছরের যুবক আমাকে তুলে নিলো তার প্রেমিকার জন্য!
কত কাকুতি মিনতি করে সরল বাচ্চার মতো একটু ভালোবাসা চাইলো!
মেয়েটা আমায় হাতে নিয়ে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে পিষে চলে গেলো!
সুনীল, শেষ বার আক্ষেপে “শিমুল” হয়ে জন্ম নিলাম বৃক্ষের মগডালে!
হেসে খেলে দিন কাটাচ্ছি বাতাসের কোলে!
কেউ নিতে আসলো না;নিজেই ঝরলাম বৃক্ষ তলে!
সৌন্দর্য দেখে সবাই তারিফ করে;কেউ তুলে নেইনি!
সেই থেকে শুরু হলো অপেক্ষার উপেক্ষা!
Views: 18