ঘুম কাহিনী
রনী
সে ছুটছিল নিকষ এক রাতের আধারের বুক চিরে বাসের গতি ১০০\১২০ । বিলাস বহুল গাড়িটায় তার পাশে আসনটি ফঁাকা । একটু বকুল ফুলের ঘ্রান । এই ঘ্রান তার অনেক পরিচিত সে জানে তার পাশে কে এসে বসেছে । চোখ বোজা অবস্থায় সে মৃদু স্বরে জানতে চাইল এতদিন পর আসলে কেমন আছো প্রিয়তম পরানের বান্ধব । চোখ খুইলেই পরানের বান্ধব চলে যাবে । তার সাথে যে চোখ বুজেই কথা হয় । সেই বকুল ফুলের মালার নারী সত্তা বলল তোমায় দেখে আমার খুব হাসি পাচ্ছে । দুঃখ কষ্ট এত সহ্য করতে পারো ভাবতে অবাক লাগে । তোমরা মানুষের আসলেই এক অনন্য সৃষ্টি । ছেলেটি হাসি মুখে বলে তুমি তো আমাকে কয়েক যুগ ধরে চিনো মনে আছে তোমার সাথে প্রথম দেখায় হোচট খেয়ে পড়ে ছিলাম চৈত্র মাসের দুপরে খোলা মাঠে ।অনেকটা কেটে গেল তারপর টক আম খেয়ে পেকে ঘা হল ! দাগটা এখনও আছে সেই সাথে কারনে অকারনে তুমিও । তুমিই আমার জীবনে এক অসাধারন অংশ। এবার নারী বলতে থাকে জীবনের কোন কাজে হোচট খেলে কাউকে না বলে নিজের মত করে আকাশ দেখ । কাউকে একটুও বুঝতে দাও না যে তুমি ভেতরে শেষ হয়ে গেছ। অামি তখনই তোমার কাছে আসি আর তুমি আমাকে বলে হালকা হও । যদি তোমাকে বলতে হয় না কারন আমি সব বুঝি । বরাবরের মতই তুমি বলবে দুঃখে লুকাতে হয় নিজের মত করে আর আনন্দ নিতে হয় সবাইকে নিয়ে । তুমি যদি চাও যে কষ্ট দিয়েছে তাকে ধাক্কা মেরে আহত করি । প্রচন্ড ভয় দিয়ে রোগী বানিয়ে দেই । ছেলেটি হেসে বলে তুমি তো জানই আমি কখনই কাছের মানুষ গুলার ক্ষতি চাই না । জীবন কোন জাদু বা কেরামতি নয় জীবন চলার পথ হল জাদুর চেয়ে রহস্য আর বৈচিত্রময় সেই সাথে সময় সবাইকে প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয় । অামি আশা রাখি আমার পরানের বান্ধব তুমি কখনই উপর ওয়ালার দেওয়া অসাধারন ক্ষমতার বাজে ব্যাবহার করবে না । নারী চরিত্র টি সুন্দর করে কপালে হাত রাখে আর বলে যায় তুমি যেমনি হওনা কেন মানুষ আর আমার মধ্যে যে সম্পর্ক তা ভালবাসার উর্দ্ধে তারপরও বলি ভালবাসি এই উদাত্ত মটোকে ভালবাসি । ছেলেটি বলে চোখাটা খুলি দিব্য নয়নে দেখা হোক আরেকবার । বাসটি থামে কোন রেস্তরায় বাতি জ্বলে উঠে আর সে হারিয়ে যায় । যাবার আগে বলে বিদায় তবে দেখা হবে প্রচন্ড শীতে তোমার বারান্দায় ভরা পূর্নিমায় ।
ছেলেটি নেমে পড়ে আর বুঝতে পারে বকুলের ঘ্রানে সে আছে আশে পাশে নিবিড় ভালবাসায় ।
Views: 13