শীতের কুলি
রোহান খান জয়
পৌষের ভাসমান মেঘ আসে যায়
পোষ্ট অফিস পিওনের মতো
কখনো আনে পাতা ভরা চিঠির জমিন
কখনো শুন্যতায় রাখে আমায়।
সকাল সূচনায় কখনো সূর্য আসে
কোনদিন আসে না আবার
কচি কচি ঘাসের ডগায় মুক্ত দানার মতো লেগে থাকে বিয়োজন ফোঁটা ফোঁটা জলের কণা।
সকাল আমাকে জাগায় পাখি সংগীতে
কখনো ডুবিয়ে রাখে ঘুমের পাড়ায়।
শীতের শরীরে ঠান্ডা মেশিন
শীত কমে বাড়ে কিশোরী অভিমানী বালিকার মতো।
কখনো সাদা ঘোমটায় ঢাকে মুখ
লজ্জাবতী ষোড়শী কুমারী নববধূর রুপে।
হাওয়া যায় শীতল শীতল মনের জমিনে সুখ অনুভবের মতো।
কারো প্রিয় শীত কারো আবার শত্রু সম
শীতে আসে ফুলের জোয়ার লাল সাদা শতাধিক রঙে
রবিশস্যে ভরে ওঠে মাঠ কৃষকের ঠোঁটে তৃপ্তির হাসি
শীত কখনো বেদম রসিক কখনো গুমরা মুখো।
জানালায় ঝুলে থাকে লজ্জাবতী জলের মালা
হাত বাড়ালে কেঁদে ফেলে হাতের উপর
যেন খুব মজা পায় হাতের সাথে এ যেন যাদুর খেলা।
পৌষের শীত অনেক শেখায় বুদ্ধিজীবীদের মতো
নিজেকে যত্ন নিতে সঠিক রেখে।
জীবনবোধের সংজ্ঞায় সেজে ওঠে শীত
সার্বজনীন শিক্ষক রুপে
জীবন কি, সময় কেনো হেলায় ঠেলি?
ভাবুকের জন্য শীত শিক্ষা সফর
কেউ কেউ আবার তীব্র অভিশাপ দেয়।
কখনো কেউ মনের জলবদ্ধতায় হাবুডুবু খায়
কখনো শীত আনে সহনীয় মিষ্টি রোদ্দুর আলো
কখনো হারিয়ে ফেলি আমাকে আমি
কখনো সারি সারি কখনো এলোমেলো মেঘ
ওরা সবাই শীত আনয়ন কুলি৷
Views: 7