বিস্ময়কর আল কুরআন
_____নুরে আলম মুকতা
” আউজুবিল্লাহি মিনাস শায়তানির রাজিম
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম ”
প্রিয় বন্ধু আসসালামু আলাইকুম , আশা করি সবাই ভাল আছেন ।
একটুকরো গল্প দিয়ে শুরু করি যা আজ সকালে আমাকে চমকিত করেছে । বার বার চমকিত হই। বার বার কাঁদি । যতদিন বোঁচে আছি আল্লাহর দুনিয়ায় ততদিন চলতেই থাকুক এ পরিক্রমা ।
আমরা মনে রাখি যতই পেরেশানি ও দুনিয়ার ফিকির থাকুক, চলে যেতে হবে আমাদের ।
আমি বহুবার চেষ্টা করেছি মনে মনে যে এ শুক্রবার ভদ্রমহিলাকে একটু হেল্প করব। কিন্তু দেখুন জীবনের কী পেরেশানি পারছি না। সকাল থেকে যারা আসেন তাদের মধ্যে সিংহভাগই নারী ভিক্ষুক ।
ওরা দরজার টোকা মারে বা ইশারা দেয়। ভেতর থেকে মা মেয়ে মিলে বার বার বলে ক’জন ?
ছোট্ট মামনি এমন একটি সুর করে বলে যে , আমি ঘর থেকে রীতিমতো উপভোগ করি।
আসলে সুরগুলো আমাদের যাপিত জীবনের অনুরণন !
আজ আমি ক’জন বলার দায়িত্ব পেয়েছিলাম কয়েক বার ।
একবার স্থির হয়ে গেলাম। সকল নারী ভিক্ষুক মহিলার পরিচিত। আমার কয়েকজন মাত্র । রাস্তাঘাটে দেখেছি মনে হয়।
আমিঃ
ক’জন?
মহিলাঃ বাবা, দুজন ।
আমিঃ (দরজা খুলে) মা,
আরেক জন কই ?
ওরা প্রায়ই আরেকজনেরটি নিয়ে নেন। আজ বললেন,
আরেকজনের লাগে না ।
আমি বললামঃ কেন?
মহিলাঃ উনি ত জমিদার ?
আমিঃ তাহলে উনি ভিক্ষা করছেন কেন ?
মহিলাঃ উনি সবার সাথেই থাকেন বাবা , বলেই তিনি আকাশের পানে চাইলেন।
মহিলার মুখাবয়বে পরম পরিতৃপ্তির অসাধারণ হাসি ।
আমি ততক্ষণে অশ্রুসিক্ত । মুখ থেকে কোন শব্দ নিঃসরিত হচ্ছে না !
ঈমানদারি কাকে বলে নতুন করে শিখলাম।
মা তোমায় সালাম ।
আজ বিশেষ কারণে ৬০০ খৃষ্টাব্দের ইউরোপ সভ্যতা আর মিশরীয় সভ্যতা আলোচনায় আনতে পারলাম না। আশা করি ইনশাআল্লাহ আল্লাহ সুযোগ দিবেন পরের বার।
আমরা এটুকু জানি যে ইউরোপে তখন চার্চ কেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু ছিলো। সমাজে ছিলো নানান বিভেদ আর কুসংস্কার । বিজ্ঞানী আর দার্শনিকদের মৃত্যদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছিল। ইতিহাস সাক্ষী ।
আমরা পবিত্র ইসলামের অনুসারী এবং এক আল্লাহর অনুগত এ বিষয়টি সর্বাগ্রে মাথায় নিয়ে আলোচনা করতে হবে। আমরা মনে রাখি এবং পরম শান্তি ও পরিতৃপ্ত যে, আল্লাহ আমাদের পরিচালিত করেন। তিনি সমস্ত বিশ্বজমীনের মালিক । তিনি যা চান তাই হচ্ছে । আমরা শুধু আমাদের নিজ নিজ কর্ম সম্পাদন করার আদেশ প্রাপ্ত।
বিধিলিপি ও ভবিষ্যৎ আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমাদের আত্মসমর্পণ করা আছে একদম শতভাগ । তখন আর কোন হতাশা , দুঃখ কিংবা বিষাদ আমাদের গ্রাস করতে পারবে না।
মহান আল্লাহ আমাদের মালিক এবং মনে রাখতে হবে যে ,তিনি মহানুভব । তার অনুভূতি পূর্ন , কোন কমতি নেই তাঁর ।
তিনি পরম দাতা দয়াময় ও মহানুভব “ইয়া জাল জালালে অলইকরাম ।” তিনি প্রতিটি বিষয়ের সুক্ষাতিসুক্ষ্ম বিশ্লেষণকারি,
“ইয়া লাতিফুল খাবীর। ”
এখানেই আমাদের পরিতৃপ্তি ও শান্তি।
মহা গ্রন্থ আল কুরআনে আল্লাহ কি বলছেন চলুন কয়েকটি দারুণ দারুণ আয়াত পড়ে আসি ,
আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম ,
১৫১.কামা আরসালনা ফিকুম রাসুলাম মিনকুম ইয়াতলু আলাইকুম আয়াতি না ওয়া ইউজাক্কিকুম ওয়া ইউ আল্লিমুকুমুল কিতাবা ওয়াল হিকমাতা ওয়া ইউ আল্লিমুকুম মা আ লাম তাকুনু তা আ লামুন ,,
আমি তোমাদের মধ্য হতে একজন রসুল সাঃ পাঠিয়েছি, যিনি তোমাদের আমার আয়াত পাঠ করে শোনান, তোমাদের পবিত্র করেন, কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন এবং যা তোমরা জান না তা শিক্ষা প্রদান করেন ।
১৫২.ফাজকুরুনি আযকুরুকুম ওয়াশকুরুলি ওয়ালা তাকফুরুন ,
অতএব তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমি তোমাদের স্মরণ করব । আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও অকৃতজ্ঞ হয়ো না
১৫৩.ইয়া আইয়্যুহাল লাজিনা আ মানুস তাঈনু বিস স্বাবরি ওয়া স সালাত , ইন্নাল্লাহা মাআস স্বাবেরিন
হে মুমিন গন, তোমরা সাহায্য প্রার্থনা কর ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে , নিশ্চয়ই আমি (আল্লাহ) ধৈর্যশীলদের সাথে আছি ।
১৫৪.ওয়ালা তাকুলু লিমাই ইয়াকতালু ফি সাবিলিল্লাহি আমওয়াত বাল আহইয়াউ ওয়া লা কিল্লা তাশউরুন
আল্লাহর পথে যারা নিহত হয় তাঁদের মৃত বলো না বরং তাঁরা জীবিত , কিন্তু তোমরা তা উপলব্ধি করতে পার না ।
১৫৫.ওয়া লাবলু আন্নাকুম বি শাইয়িম মিনাল খাউফি ওয়াল জুউয়ি ওয়া নাকসীম মিনাল আমওয়ালি ওয়াল আনফুসে ওয়াশ্বামারাত ওয়া বাশ্বিসিরিস শ্বাবিরিন
আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়-ক্ষুধা , ধণ-প্রাণ ও ফল ফলাদির ক্ষতি দিয়ে, হে মুহাম্মদ সাঃ আপনি সুসংবাদ দিন ধৈর্যশীলদের ।
১৫৬.আল্লাজিনা ইযা আশাবাতহুম মুসিবাতু ক্বালু ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন , ।
তোমাদের ওপর যখন বিপদ আপতিত হয় তখন বল, আমরা আল্লাহরই এবং তাঁর কাছেই ফিরে যাব ,,
(সুরা বাকারা আয়াত ১৫১-১৫৬)
সুবহানাল্লাহি অবি হামদিহি ।
মেসেজ একদম পরিস্কার । ইসলাম অনুসারীদের ঈমানী সন্দেহ বা দ্বিধা দ্বন্দ্বের কোন অবকাশ নেই।
শুধু প্রশান্তি আর আনুগত্য ।
আল্লাহ আমাদের সহীহ হেদায়েত দান করুন।
আমীন,,,
Views: 15