আসিত যদি কবি
______ওমর ফারুক মিয়াজী
বেহুলা ও বেহুলা!
কি কর তুমি একেলা?
কে কবি!
এসো দেখো আঁকছি বসে
শুধুই তোমার ছবি।
সেইযে চলে গেলে মাঘের শেষ বিকেলে
ফিরে তাকালে না একটিবার,
তোমার পিছন ধরি আমি কেঁদে মরি
আঁচল পেতেছিলাম তোমাকে ফেরাবার।
তুমি বলেছিলে ফাগুনের কোন এক সকালে
স্নিগ্ধ ঘাসের বুকে ফিরবে রবি হয়ে,
সেই থেকে আমি রয়েছি পথ চেয়ে
হয়তো আসবে তুমি ময়ূরপঙ্খি কিংবা শঙ্খচিল হয়ে।
ফাগুনের সব দিন সাজিয়ে রঙিন
গুনেছি কত অপেক্ষার প্রহর,
জানে দিবা-যামিনী জানে পশুপাখি
জানে এ মায়া মাখা জ্যোস্নার শহর।
হৃদয়ের ব্যকুলতায় উতলা হয়ে
সাগরের গর্জন শুনেছি কত রাত,
দিনে দিনে আমার সবই ফুরাইল
ফুরায়নি কভু তোমাকে কাছে পাবার স্বাদ।
শুনেছি কত গঞ্জনা বঞ্চনা
সয়েছি হৃদয় দাহের ক্ষতের যন্ত্রনা,
দহনের ভস্ম কাজল করে মেখেছি নয়নে
সমাজ দিয়ছে আমায় কত লাঞ্চনা।
শোন বেহুলা, তুমি নয় একেলা
এ যন্ত্রনা আমিও সয়েছি কত শত,
তোমাকে পাওয়ার জন্য কাটার বনে হেঁটেছি কত
কাটার আঘাতে আমিও হয়েছি ক্ষত-বিক্ষত।
(বেহুলার ললাটে হঠাৎ করে পরে রক্ত কনিকা
বেহুলার তখন ধ্যান ভাঙ্গে আচমকা।)
কবি! কবি!! ও কবি!!
তবে কি স্বপ্নই ছিল এ সবি।
আমার আর হলনা শোনা সেই অমৃত কবিতা
হারিয়ে গেল কবি কুয়াশার ভীরে,
এখনো বসে আছি সেই আঁচলখানি পেতে
আবার আসিত যদি কবি ফিরে।
গৃহ সাজাইতাম কোন এক ফাগুনকে ঘিরে।
Views: 68