নৈঃশব্দ্যের আর্তনাদ
______নাজনীন নাহার
নৈঃশব্দ্যের আর্তনাদে একাকিত্বের ক্রন্দন,
মৃত্যু এসে কড়া নাড়ে অন্তপুরের দরজায়।
কে!
কে ওখানে!
বলেই হারিয়ে যায় জীবন নামক রহস্যময় গল্পেরা।
এক এক করে বেড়িয়ে আসে পিয়াসী আত্মার অতৃপ্ত আস্ফালন,
ভয়ার্ত কৈশোরের তলপেটে স্বপ্ন হারানো তীব্র ব্যথার মিসক্যারেজ।
উড়ে এসে জুড়ে বসে তারুণ্যের দুঃখ নামক এক ঝাঁক রক্ত পিপাসু হায়েনা,
আর্তনাদের লুসফারে প্রকম্পিত মনের দালান কোঠা।
হুড়মুড় করে ভেঙে পড়তে পড়তে উঠে দাঁড়াতে চায় বিশ্বাস,
ততক্ষণে অবিশ্বাসের নামে গলায় ঝুলে পড়ে কালা জাদুর বার্ধক্য নামক প্রহেলিকা।
জিনের অপভ্রংশে কাবু হয়ে পড়ে ইনসান,
এক অলিখিত লড়াইয়ে জিতে যায় প্রকৃতির শক্তিমত্তা।
চোখের কোলে বইতে থাকে কালবৈশাখী ধুলিঝড়ের তাণ্ডব।
কে!
কে ওখানে!
কেউ না।
এক খণ্ড তরতাজা মৃত্যু এসে কড়া নাড়ে ঘুমের সিথানে।
ধরমড় করে উঠে বসে আত্মার ক্রন্দন!
একখানা অমরত্ব চায় শেষ বারের মতো,
শুধরে নিতে জীবনের বেহিসাবি পাপ-তাপ শত।
ততক্ষণে জীবন বাসনায় হন্তদন্ত রূহের হৃৎপিণ্ডে জান কবজের সূচ্যগ্র নখের যত্ন,
শেষ নিঃশ্বাসে তলিয়ে যায় সকল শব্দের আর্তনাদ!
অপেক্ষার খাতায় আবারও কোনো নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করে নেয় মৃত্যু,
অবধারিত সেই অবস্থানে নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকি আমি তুমি।
নৈঃশব্দ্যের আর্তনাদে পুনরায় ভারি হয় বাতাসের অক্সিজেন,
নিঃশব্দে একমাত্র মৃত্যুই বুঝিয়ে দেয় জীবনের সব লেনদেন।
Hits: 15