অবশিষ্ট পাশা
___________________নুরে আলম মুকতা
চিকিৎসক বন্ধুর নম্বর বার বার
বেজে যাচ্ছে ।
তখন আমি এমন ব্যস্ত যে, ফোনটি ধরতে পারছি না । অবশেষে ধরলাম ,
কি হল বল ?
আবে ধুর , শালা তোকেও যদি ফোনে না পাওয়া যায় তাহলে
ফোন রাখাই ঠিক না । তুই ত আর আমার বৌ না ?
কী যে প্যাচাল করিস ! বল কি হল ?
তুই আয় ভাই প্লিজ। রাজসাক্ষী তুই ।
বুঝলাম না কিছুই !
সব কাজ ফেলে দৌড়ালাম।
দরজা খুলে সামনে একদম অগ্নিমূর্তি!
সিঁদুরে মেঘ মুখাবয়বে। কিছু মেকআপে
কিছু রাগে ।
দরজা খুলে হন হন করে একদম ধপাস করে ওদের সোফায়!
আমাকে এরকম অভ্যর্থনা করল বন্ধুর
স্ত্রী !
একটু রাগ হল কিন্ত অভ্যস্ত
হয়ে গিয়েছি ।
বেকুবের মত বসতে দিল দুজনার
মাঝখানে ।
বাহ্ !
দারুণ আসন আর কি !
সবাই গম্ভীর চুপচাপ । শুধু অসহায় পাখা বাবাজি মাথার ওপর শন শন করে ঘুরে
চলেছে ।
আমি বললাম কি হল ?
আমার তাড়া ছিল । আমিই নীরবতা ভাঙলাম ।
মানুষের চরিত্রের এত অধপতন হয় ?
ওত বিকালেই গেল । আমি বললাম সন্ধ্যার আগে একটু বেরোব। লোক কুটুমের জন্য এবার ঈদে কোথাও
বাইরে যেতে পারিনি ।
খুয়া ভাঙ্গা মেশিন থামানোর জন্য আমি বললাম ,
ত কি এমন হল ?
মহিলা আবার কর্কশ স্বরে ,
আর উনি কিনা মক্ষীরানিদের সমুদ্রে ডুব দিয়ে এলেন !
ধুর বাবা, চুপ কর ত!
আসল কথা বল ।
এবার বন্ধু ধীর স্বরে বলল,
দোস্ত আমার সার্টের কলারে একটি নারী
কেশ পেঁচিয়ে ছিল ।
হাঁ থাকতেই পারে
আমি বললাম ,
তুই তখন ক্লিনিকে অসুস্থ দুমাস বয়সী একটি শিশু কোলে নিয়ে পরীক্ষা
করেছিলি ।
আমি পাশে ছিলাম ।
Hits: 46