যুদ্ধটা শেষ পরিনতিতে যাবার আগেই আমি সখ্যতার আপোষে আটকে যাই
প্রতিবারই যুদ্ধটা শেষ হয় অলিখিত প্রতিশ্রুতির সুরে
প্রতিবারই কথা দেয়া থাকে,আমায় নিয়ে যাবে নীলাচল পাহাড়ে সুখতারার গা ঘেঁষে নেমে যাওয়া ঝর্ণার ধারে
গা ধুয়ে দেবে ঝর্ণার নীলজলে।
তোমার প্রতিশ্রুতিকে পূতপবিত্র ভেবে আমি ভুল করি
ভুলে যাই তোমার স্তুতির শেষ কণা টুকুর কোন বর্ণ থাকে না,ছন্দ থাকে না
থাকে না কোন পূর্ণাঙ্গ বাক্য
দিন শেষে তুমি তাকে উড়িয়ে দাও বিশ্বাসঘাতকতার কর্পূরে!
আমার নির্বোধ নরম কোমল ভাবনাগুলো আটকে যায় কাল্পনিক সন্ধিপত্রের আড়ালে।
আবার যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে
যুদ্ধকালীন চুক্তিবদ্ধতা আবশ্যিক হয়ে পড়ে
আবার মালা চন্দনে সঙ সাজি,
পুতুলের সাজে সাজাই সবই নতুনের মত করে
তুমি মাঝ পথেই ভেঙ্গে দাও খেলাঘর তোমার পৌরুষত্বের দাপটে
হায় বিধাতা !
আমি কি তবে মানুষ নই?
এখনো পড়ে আছি আটপৌরে শাড়ির আড়ালে!
যদি এই জন্মের পরে অন্য কোন জীবন থাকে
মানুষ করে জন্ম দিও এই ধরাধামে
পূনর্জন্ম দিও না কভু মেয়েমানুষের আদলে!
Views: 47