কপালে সূর্যোদয় ঘটে গেছিল,
সে-ই না বুঝা আর কিছু বুঝার অনেক আগেই ;
তখন থেকেই পরাধীনতার তালাবন্ধ ফটকে জুটে গেল আমার আশ্রয়….
আমি হারাতে শুরু করলাম আমার কৈশোরকে,
সংসারী হতে গেলাম,পারলাম না।
স্বামী মানে যে শুধু কিছুটা সময়ের জন্য নিজেকে তার কামনায় মত্ত করা,মেলে ধরা
এ-তো তখনও ঐ অবুঝ হৃদয় শেখে ওঠেনি।
বরং আমি তাকে অর্চনাতে রাখতে চাইলাম,
আর ভালোবাসায় আঁকতে ….
কিন্তু সে মোরে রাখল না তার মন মন্দিরে
আমি অবহেলিত হতে থাকলাম,
আমার কৈশোর পেরুলো,
যৌবনও এখন অপরাহ্নে
আমার হৃদপিন্ডটা ধুঁকপুঁক করে বেরুতে চাইল
সংসার নামক আধাঁখ্যাচড়া বন্ধন থেকে!
মুক্ত বসুন্ধরায় এখনো আমার প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে মন আঁকুপাঁকু করে।
অতিশয় অবজ্ঞা শানিত করে আমার বোধের তরবারি…
আস্তে আস্তে ভালোবাসার বীণা থেকে তারগুলো ছিড়ে পড়ে এক বিনাশী বাতাসের তীব্র ঝাপটায়;
ভাবনার ইন্দ্রধনু ধ্রুপদ সঙ্গীতের তালে তালে আর বেজে ওঠে না।
কিন্তু তবু আমার সিঁথিকেটে রোজ সূর্যোদয় ঘটে
আর হৃদপিঞ্জিরাটায় ঘটে সূর্যাস্ত!
ইচ্ছে করে সমান্তরাল সিঁথিটাকে ওয়াই(Y)
বানিয়ে দুইদিকে বেঁকিয়ে দিই….
কিন্তু হায় আমি যে তা-ও পারি না!!!
কেন পারি না আমি?
কোথায় বাধা পড়ে আছে আমার আধাঁখ্যাচড়া আমিটা?
Views: 77