স্বামী অফিস থেকে ফিরেছে প্রায় ত্রিশ মিনিট হয়েগেছে। স্ত্রী প্রতিদিন স্বামী অফিস থেকে ফিরলেই চা নাস্তা দেয় ভালো মন্দ কথা বলে। আজ স্বামী দেখছে তার স্ত্রী তাঁকে চা – নাস্তা দেওয়া তো দূরের কথা সে যে বাসায় ফিরেছে তাই মনে হয় ভুলে গেছে। তাঁর দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না। একটা নায়লনের দড়ি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে টেনেটুনে দেখছে!
মনে হচ্ছে তার পৃথিবীটা আঁটকে আছে দড়িতে।
অথচ আজ সে তার স্ত্রীর জন্য এক ঘন্টা সময় রাস্তায় বেশি ব্যয় করেছে। তাঁকে সারপ্রাইজ দিবে বলে!
স্ত্রী দড়ি টেনেটুনে দেখছে শক্ত কিনা।
স্বামী,
– দড়ি নিয়ে পড়ে আছো কেন?
স্ত্রী,
– একটু পরে কঠিন ঝগড়া হবে, তখন তোমার ইচ্ছে হবে আত্মহত্যা করার। নরম দড়ি হলে আত্মহত্যা করার সময় মরবে তো না-ই, আমাকে উল্টো ঝামেলায় ফেলবে কোমড় ভেঙ্গে!
এই কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে স্বামী রেগে আগুন হয়ে ঝগড়া শুরু করলো।ঝগড়ার এক সময় স্বামী বলল,
– মনে চাইছে গলায় দড়ি দেই।
তখন স্ত্রী হেসে বলল,
-দেখেছো আমি বলেছিলাম না তুমি আত্মহত্যা করতে চাইবে।
দেখো আমার চাইতে বেশি তোমাকে কেউ বুঝে না। প্রমাণ হলো তো।
-আর আমি তোমাকে সব চাইতে বেশি ভালোবাসি তাই শক্ত দড়ি খুজছিলাম তোমার জন্য।
স্বামী এবার রাগতেও ভুলে গেছে স্ত্রীর কথায়! অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখছে তার স্ত্রীকে। তাই দেখে স্ত্রী বলল,
– থাক আজ বাদ দাও আত্মহত্যা কর্মসূচী। মনে হয় তোমার ক্ষুধা লেগেছে। এসো চা – নাস্তা করি। তারপর
চলো আম গাছে দোলনাটা বাঁধি যা গত সাত দিনেও বাঁধতে পারো নাই।
স্ত্রী,
– গত এক সপ্তাহ থেকে বলছি দোলনাটা বাঁধ। তুমি তো দড়ি খুজে পাচ্ছো না এই অজুহাত দেখিয়ে চলছো এক সপ্তাহ থেকে। তাই আজ নিজেই কিনে আনলাম দড়ি।
স্বামী,
– তুমি না থাকলে আমার যে কি হতো!
স্ত্রী ডাইনিং টেবলের কাছে এসেই তার প্রিয় ফুলের সুবাস পেলো, তারপর নাস্তার প্লেটের ঢাকনা খুলতেই দেখতে পেলো সেখানে তাঁর প্রিয় বেলি ফুলের মালা রাখা।
এ-ই মালা কিনতে যেয়ে বাড়তি একটা ঘন্টা ব্যয় করেছে অফিস ফেরত স্বামী।
Views: 65