-
পাঠ পর্যালোচনা: বেলায়াভের উভচর মানুষ
আসাদুজ্জামান জুয়েল
আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সের কাছাকাছি সাগরে মাছ ধরে জেলেরা। সেখানে ”জেলি-ফিস” নামে একটা জাহাজ দেখে সবাই। সে জাহাজ কিন্তু মাছ ধরার জাহাজ নয়। “জেলি-ফিস” জাহাজের মালিক পেদ্রো জুরিতার নেতৃত্বে সাগরে মুক্তো খোঁজা হয়। তার জাহাজে অনেকে কাজ করলেও পেদ্রো জুরিতা বিশ্বাস করে শুধুমাত্র বালতাজারকে।
শহরে বালতাজারের ঝিনুক আর মুক্তোর দোকান আছে। পাশাপাশি সে কাজ করে পেদ্রোর জাহাজে।
একরাত্রে জাহাজের সবাই একটি অদ্ভূত প্রাণী দেখতে পায় সাগরের বুকে। আতঙ্কে সাগর ছেড়ে পালাতে চায় সবাই। এই প্রাণিটির কথা নিয়মিত শোনা যাচ্ছে গোটা আর্জেন্টিনা জুড়ে। নাম ”দরিয়ার দানো।” হাঙরকে ভয় পায় ডুবুরিরা। তার চেয়ে হাজারও গুণ বেশি ভয় দরিয়ার দানো কে। সাগর থেকে পালায় জেলেরা। মাছের সংকট দেখা দেয় বাজারে।
আর্জেন্টিনা সরকার প্রাণিবিজ্ঞানী, গোয়েন্দা, গবেষক, সমুদ্রবিজ্ঞানী সবাইকে দিয়ে বার বার কমিটি করেও দরিয়ার দানো সম্পর্কে কোন হদীস পান না। শুধু জেলেরা মাঝে মাঝেই এই অদ্ভূত প্রাণিটিকে দেখতে পায়। যার অর্ধেক মাছ আর অর্ধেক মানুষের মত। ব্যাঙের মত হাত, ভয়ংকর চোখ। বিজ্ঞানীরা বলেন, এরকম প্রাণী থাকা অসম্ভব, এগুলো কুসংস্কার কিংবা কোন মানুষের দুষ্টুমি।
প্রথম দরিয়ার দানোর অস্তিত্ব বুঝতে পারার পরই জেলি-ফিস জাহাজের নাবিক আর ডুবুরিরা জাহাজ ছেড়ে চলে যেতে চায়। অবশেষে জাহাজ মালিক পেদ্রো জুরিতাকে জায়গা বদল করে চলে যেতে হয় অনেক দূরে ।
একজন ডুবুরি মুক্তো খুঁজতে গিয়ে পানির নীচে দেখতে পায় দরিয়ার দানোকে। ভয়ে মৃতপ্রায় লোকটিকে বাঁচায় তার সহকর্মীরা। ব্যাপার হলো এরকম যে, যখন ডুবুরিটি মুক্তো খুঁজছিলো তখন সে দেখতে পায় একটি হাঙর তাকে তেড়ে আসছে। আজ আর সে নিস্তার পাবে না হাঙরের হাত থেকে, তাকে মরতেই হবে এরকম ভাবার সময় দেখতে পেল হাঙরটির পেট চিরে দিলো দরিয়ার দানো। রক্তে ভেসে গেল চারিদিক। দানো তাকে বাঁচানোর জন্যে হাঙরটিকে মারতে পারে এরকম তার মনে হয়নি, মনে হয়েছে সে তার শিকার ধরেছে। তার কাছে থেকে দানোর চেহারার বর্ণনা শোনে সবাই।
জুরিতা ব্যবসায়ী মানুষ। সে চেষ্টা করে দানোকে দেখার জন্যে। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর জেলি-ফিস জাহাজের সবাই দেখতে পায় একটি ডলফিনের পিঠে চেপে বসে ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছে ভয়ংকর দরিয়ার দানো আর স্পষ্ট স্প্যানিশ উচ্চারণে বলছে, আরো জোরে লিডিঙ, আরো আরো জোরে।”
২.
জুরিতা খুব চতুরতার সাথে সমস্ত নাবিক এবং ডুবুরীদের বিদায় করে দেয়। নতুন করে সে আর বালতাজার মাত্র কয়েকজন সাহসী শক্তিশালী শ্রমিক নেয়। তারের জাল বানায়। অস্ত্র বানায়। উদ্দেশ্য দরিয়ার দানোকে আটক করা। সাধারণ ডুবুরীরা দু’মিনিটও ডুবে থাকতে পারেনা। দরিয়ার দানো পানিতে ডুবে থাকা প্রাণী। স্প্যানিশ জানে। একবার তাকে ধরে ফেলতে পারলে বুঝিয়ে শুনিয়ে প্রচুর মুক্তা আহরণ করা সম্ভব।
তারের জাল দিয়ে তারা একবার প্রায় ধরেই ফেললো দরিয়ার দানোকে। শেষ মুহূর্তে এসে জাল কেটে বের হয়ে গেল দরিয়ার দানো। তারা বুঝলো, দরিয়ার দানোর দাঁত খুব ধাঁরালো। তাকে আটকানো সম্ভব নয়।
অক্সিজেন মাস্ক আর আধুনিক টর্চ নিয়ে সাগর তলে নেমে গেল জুরিতা আর বালতাজার। সেখানে একটা পাহাড়ের খাড়ির নীচে তারা আবিষ্কার করলো, লোহার গেট দিয়ে ঘেরা একটা গুহা। গুহার ওপাশে আছে নিশ্চয় দরিয়ার দানোর বাড়ি। তারা গেট ভাঙতে সক্ষম হয় না। ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া ছাড়া এই গেট ভাঙা সম্ভব নয়।
চতুর জুরিতার মাথায় একটা জিনিস ঢুকে গেল। এই দরিয়ার দানোর সাথে স্থলের কোন সম্পর্ক আছে, না হলে লোহার এরকম গেট বানানো তার পক্ষে সম্ভব নয়। আর তারের জাল সে দাঁত দিয়ে কাটেনি বরং তার কাছে আছে, ধারালো কোন অস্ত্র যা দিয়ে তারও কাটা যায়।
- আলেক্সান্দর বেলায়েভ
৩.
দরিয়ার দানোর খাঁড়ির সাথে তীরের কোন না কোন বাড়ির গোপণ পথ আছে, এটা সন্দেহ করেছিল জুরিতা। তীরের প্রায় সব বাড়িগুলো খুঁজে দেখলো সে। সেরকম কিছু পেল না, শুধুমাত্র একটি বাড়িতে সে ঢুকতে পারলো না। সেটা হলো, ডাক্তার সালভাতরের বাড়ি।
সালভাতরকে মানুষ ভগবান বলে বিশ্বাস করে। কারণ তার কাছে থেকে কোন রোগী সুস্থ না হয়ে ফিরে না। অনেক মৃত বলে ধরে নেওয়া শরীরকেও সে জীবিত করে তুলেছে। তবে কী এক রহস্যজনক কারণে সে রেড ইন্ডিয়ান ছাড়া আর কারো চিকিৎসা করেনা।
প্রায় দশ হেক্টর জমির উপর দেয়াল দিয়ে ঘেরা বাড়িতে কী ঘটছে তা বাইরের কেউ জানতো না। কারণ সালভাতর কারো সাথে দেখা করে না। শুধুমাত্র রেড ইন্ডিয়ান রোগীদের সে চিকিৎসা দেয়। তাদেরকে বাসায় ঢোকার অনুমতি দেয়।
বাসায় ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে, জুরিতা আর বালতাজার বোঝে যে, এ বাড়ির সাথে কিংবা সালভাতরের সাথে দরিয়ার দানোর নিশ্চয় কোন সম্পর্ক আছে। তারা বালতাজারের ভাই ক্রিস্টোকে ছদ্মবেশে পাঠায় নাতির চিকিৎসা নিতে সালভাতরের কাছে। মৃতপ্রায় নাতি সুস্থ হলে, সুচতুর ক্রিস্টো দাস হিসেবে সালভাতরের কাছে নিজেকে সোপর্দ করে। ক্রিস্টোকে বিশ্বাস করে ডাক্তার । তাকে নিয়োগ দেয় তার বাসার কাজে। শর্ত একটাই, যা দেখবে তা কাউকে বলার চেষ্টা করলে জিহ্বা কেটে নিবেন সালভাতর।
সেখানে গিয়ে এক অদ্ভূত জগতের মুখোমুখি হয় ক্রিস্টো। জাগুয়ারকে বানানো হয়েছে কুকুর, টিকটিকির বানানো হয়েছে ছয় পা, সাপের দেখা যাচ্ছে দুটো মুখ। গোলাপী একটা কুকুর দেখলো ক্রিস্টো। কুকুরটির উপরের দিক হলো বানর, নীচে কুকুর। টিয়া পাখির মাথা বসানো একটা চড়ুঁই দেখলো সে।
ক্রিস্টো যখন দেয়াল ঘেরা চিড়িয়াখানায় ঘুরছিল তখন ঘোড়ার মত লেজ দুলিয়ে ছুটে গেল দুটো লামা। ঘাস থেকে, ঝোঁপ থেকে গাছের ডাল থেকে বিচিত্র সব প্রাণী দেখতে লাগলো ক্রিস্টোকে- বেড়াল মাথার কুকুর , মোরগ মাথার হাঁস, শিঙওয়ালা শুয়োর, ঈগল ঠোঁটের উটপাখি……………………………।
ক্রমেই নানা কৌশল আর অপকৌশলে সালভাতরের কাছে বিশস্ত হয়ে উঠলো ক্রিস্টো। জেনে গেল সব রহস্যের কথা । জানাতে লাগলো ভাই বালতাজার আর মনিব পেদ্রো জুরিতাকে।
৪.
দরিয়ার দানো আসলে মানুষ। ডাক্তার সালভাতর তাকে একই সাথে মাছ এবং মানুষের বৈশিষ্ঠে গড়েছে। সে যেমন পানিতে থাকার জন্যে মাছের মত কানকো পেয়েছে, যা দিয়ে সে পানিতে শ্বাস নেয় একই রকম মানুষের মত ফুসফুসও আছে তার। সে আসলে উভচর।
গ্রীক শব্দ ইকথিয়ান্ডর মানে মৎসপুরুষ। এই নামেই নামকরণ করেছে সালভাতর নিজের ছেলের। হ্যাঁ, ইকথিয়ান্ডরকে সে ছেলেই বলে, ইকথিয়ান্ডর জানে সত্যিই সালভাতর তার বাবা।
জলে ভেসে যাওয়ার সময়ে এক তরুণীকে উদ্ধার করে ইকথিয়ান্ডর। তার সাথে তার প্রেম হয়। ঘটনাক্রমে মেয়েটি বালতাজারের কণ্যা। তরুণীকে জোর করে বিয়ে করে জুরিতা।
প্রেমিকাকে বাঁচাতে গিয়ে ধরা খায় ইকথিয়ান্ডর। জুরিতার দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটে। তাকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করে সাগর থেকে মুক্তো সংগ্রহ করে সে।
জুরিতা ইকথিয়ান্ডরকে পেয়ে যাওয়ায় সম্পর্কচ্ছেদ করে বালতাজারের সঙ্গে। এরকম সময়ই প্রকাশ পায় এক নির্মম কাহিনীর। ক্রিস্টো বলে বালতাজারকে সে কাহিনী।
বালতাজারের বৌ মায়ের শ্রাদ্ধে অংশ নিতে পাহাড়ে গিয়েছিল। ফেরার পথে তার সন্তানপ্রসবের ব্যথা উঠে। সন্তান হতে গিয়ে মারা যায় মা। বাচ্চাটিও জন্ম নেয় ত্রুটিপূর্ণ হয়ে। মারা যাওয়ার অপেক্ষায় থাকে বাচ্চাটিও। এক বুড়ি তখন পরামর্শ দেয় তাকে সালভাতরের কাছে নিতে। সে নিয়েও যায় কিন্তু তাকে কয়েকদিন পরে জানানো হয় যে, বাচ্চাটি মারা গেছে।
আজ বিশ বছর পরে ক্রিস্টো ইকথিয়ান্ডরের কাঁধের কাছের এক ক্ষতের সেবা করতে গিয়ে দেখতে পায়, এক জোড়ুল চিহ্ন, যেটা দেখেই সে বুঝতে পারে আসলে এটাই সেদিনের সেই বাচ্চাটি। সেদিন তাকে মিথ্যা বলা হয়েছিল। যদিও এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না যে এটাই সেদিনের সেই শিশু। কারণ জোড়ুল তো আরো নতুন কোন বাচ্চারও হতে পারে। তবু সে মোটামুটি নিশ্চিত হয় কারণ ইকথিয়ান্ডরের বয়সও এখন বিশ বছর।
৫.
সালভাতরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে বালতাজার। সে ফেরত পেতে চায় তার ছেলেকে। জুরিতাও মামলা করে সালভাতরের বিরুদ্ধে । তার মামলার কারণ হলো, সালভাতরের প্রতি তার হিংসা। এক সাব মেরিন নিয়ে হামলা করে ইতিমধ্যে সালভাতর মুক্ত করে এনেছে ইকথিয়ান্ডরকে।
সমস্ত পেপার-পত্রিকায় তখন গরম খবর সালভাতর আর দরিয়ার দানো। আদালতে মামলা গড়ায় । গ্রেফতার হয় সালভাতর আর ইকথিয়ান্ডর। তাদের ল্যাবরেটরী, চিড়িয়াখানা সব চেক করা হয়। অঙ্গচ্ছেদ করার অপরাধে মামলা হয় সালভাতরের নামে।
চার্চগুলো শক্ত অবস্থান নেয় সালভাতরের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ, স্রষ্টার সৃষ্টিকে বিকৃত করেছে সালভাতর, তার মানে সে বোঝাতে চায় স্রষ্টার সৃষ্টি ত্রূটিপূর্ণ। তার কঠিন শাস্তি হতে হবে। স্রষ্টা তার সদৃশ করে মানুষ সৃষ্টি করেছেন, আর তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে একজন বিজ্ঞানী নতুন আকার দিতে চেয়েছেন মানুষকে। এটা স্রষ্টার বিরুদ্ধে দ্রোহ।
বিজ্ঞানীরাও বলেন, এটা অন্যায় করেছেন সালভাতর। তিনি মেধাবী কিন্তু উন্মত্ত। ইকথিয়ান্ডর যে এখন ডাঙায় থাকতে পারছেনা , শ্বাস নিতে পারছেনা, তাকে চৌবাচ্চায় রাখতে হচ্ছে এর পুরো দায় সালভাতরের।
সালভাতর কোন উকিল নেননি। তিনি নিজেই নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর জবাব দেন। তিনি বলেন, “ প্রথমত চার্চের পাদ্রী যিনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তিনি এই অভিযোগ আনতেই পারেন না। তিনি যদি স্রষ্টার সৃষ্টিতে পরিবর্তন না আনার পক্ষেই থাকেন তাহলে তার শরীরের অপারেশন আমার কাছে কেন করিয়েছিলেন। আমি তার শরীরের এ্যাপেন্ডিকস কেটে বাদ দিই। তিনি নিজেই তো তখন কোন আপত্তি করেননি।”
বিজ্ঞানীদের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, “ইকথিয়ান্ডর যে অবস্থায় জন্মায় তাতে সে শ্বাস নিতে পারছিলো না। মৃত্যু তার জন্যে একরকম নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো। তখন আমি আমার গবেষণার ফলটি কাজে লাগাই। প্রায় ছয়টি বানরের উপর চালানো সফল অস্ত্রোপচারের অভিজ্ঞতায় আমি একটা হাঙরের শ্বাসযন্ত্র ইকথিয়ন্ডারের শরীরে জুড়ে দিই। তাতে তার আগের শ্বাসযন্ত্রটিও অল্প অল্প কাজ করে। ফলে সে পানি এবং ডাঙা উভয় জায়গাতেই বাঁচতে পারবে। তবে ডাঙায় সে বেশি ক্ষণ থাকতে পারবেনা। সর্বোচ্চ টানা চার দিন থাকতে পারবে সে । তার পর তাকে আবার জলে নামতেই হবে কিছু সময়ের জন্যে।”
সালভাতর জানান পৃথিবীর তিন ভাগই জল। আর মানুষ জলে বাস করতে পারে না। তার আবিষ্কার এখন অনেক এগিয়েছে। এখন একটি বানর জল এবং ডাঙা উভয় জায়গায় সমান স্বাচ্ছন্দ্যে বাস করতে পারে। এটা মানুষের ক্ষেত্রে সফল হলে মানুষ এখন যে জায়গার স্বল্পতায় ভূগছে সেটা কেটে যাবে। হাজার কোটি মানুষ জায়গা নিতে পারবে সমুদ্রে। সমুদ্রে যে অপার সম্পদ আছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারবে।
৬.
ডারউইনের তত্ত্ব, সাদা-কালোর দ্বন্দ্ব, চার্চের বাড়াবাড়ি, বিজ্ঞানের সব নানামূখী কল্পণা নিয়ে অসাধারণ একটি বই আলেক্সান্দর বেলায়েভ-এর “উভচর মানুষ”।
প্রতিটি লাইনে এডভেঞ্চার। পাঠক এক নি:শ্বাসে পড়তে বাধ্য হবেন এই বই। পড়তে গিয়ে নিজেকে উদ্ধার করবেন সাগরে। কখনো ইকথিয়ান্ডর হয়ে যুদ্ধ করবেন অক্টোপাসের সাথে , কখনো খেলা করবেন ডলফিনদের সাথে, কখনো লিডিঙ-এর পিঠে চেপে ঘুরে বেড়াবেন সাগরময়।
ননী ভৌমিকের অনুবাদটি মূল বইয়ের মতই সুখ পাঠ্য হয়েছে। এক কথায় অসাধারণ।
বইটি আমার প্রিয় বইয়ের তালিকায় প্রথম দিকে স্থান করে থাকবে। আমার বিশ্বাস আপনার ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটবে।
বইয়ের নাম- উভচর মানুষ
লেখক- আলেক্সান্দর বেলায়েভ
অনুবাদক- ননী ভৌমিক
প্রচ্ছদ- মিতা মেহেদী
প্রকাশক- দ্যু প্রকাশনী
মূল্য-২৫০ টাকা
চমৎকার এই বইটি পাওয়া যাচ্ছে অংশু গ্রন্থকুটির এ। দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে অর্ডার করলে কুরিয়ারে বইটি পৌঁছে যাবে আপনার ঠিকানায়। অর্ডার করতে ক্লিক করুন অংশু গ্রন্থকুটির
Views: 83