ইদানীং
-শামীম নিমু
ইদানীং কে কাহার রাখে বলো খোঁজ?
ধরিলেও ধরিতে পারো কেহ- যেমন,
আমিও তাহাদের মতো;
পাড়াপড়শী, বন্ধু বান্ধব যাহাই রহিয়াছে আত্মীয় পরিজন,
ইদানীং যাহারা কেহই রাখেনি কাহারও খোঁজ!
কে বাঁচিয়া রহিয়াছে, কে মরিয়া গিয়াছে,
কেবা কাহারে বাঁচিয়াছে, কে কাহাকে মারিয়াছে,
সবেই যেন অপ্রীতিকর বাণী;
সখের সাধনায় স্বীয় ভাবনায় ইদানীং কাতর সকলি৷
যে যাহারে বীজ বুনিয়াছে, খুন ঢালিয়া প্রসব যাহারে করিয়াছে,
হায়, তথা বয়োবৃদ্ধ জনক জননীর স্নেহের বাঁধনে গড়া পুত্র ও কন্যা সন্তান;
একই খুনের অন্ত বিহ্বলে-
ভ্রাতায় রাখে না ভগ্নীর খোঁজ,
ভগ্নীও রাখেনি ভ্রাতার খোঁজ,
নিদারুণ এক সুশ্রী খুনের বাগিচায় কতো ধরনের পুষ্প ফুটিয়া থাকতো,
হাওয়ার ধারায় চারিধারে ছড়িয়াছিল মনোমুগ্ধকরী কতো সুঘ্রাণ,
যাহা হইতে ইদানীং দক্ষিণা দমকা হাওয়া নাসিকায় শুঁকাচ্ছে বিশ্রী দুর্গন্ধ!
সাদা এবং কালো-
সুঘ্রাণে ভরা তথা খুনের বাগিচায় দৈনিক ফুটিতেছে আজি দুর্গন্ধময় অগণিত বিরঙের পুষ্প,
পুষ্পগুলো সকলি ইদানীং দৈত্যাকার হইয়া গিয়াছে!
কেহই শুনিতে রাজী নহে কাহারও কথার ধরণ,
কেহই মানিতে রাজী নহে কাহারও মঙ্গলময়ী আদেশ,
কেহ কাহারও দাসত্বে আবদ্ধ নহে,
নেই কাহারও ভোমর দংশনের ভয়,
দিনগুলো যতটাই গত হইতেছে মৃত্যুও ঠিক ধিরেধিরে ততটাই পাশে ঘেঁষিতেছে,
অথচ শুষ্কতায় ঝরে যাইবারও নেই কাহারও দুশ্চিন্তা,
যেন সকলিই সদ্য ফুটিয়া থাকিবে আরও শতশত যুগ!
অনুরূপ স্বভাবের বীজ রোপণ করিতেছে স্নেহের পুত্র ও কন্যারাও,
ইহারই অন্তে দাম্পত্যের শিকলে তাহারাও বাঁধিয়াছে নূতন ঘর সংসার,
নূতন সেই ঘর সংসারে ভূমিষ্ঠ করিয়াছে ফুটফুটে নিষ্পাপ শিশু সন্তান,
নূতন ঘরের চারদেয়ালে বন্দি নিষ্পাপ স্নেহপূর্ণ শিশুরাও ইদানীং খেলিতেছে মাটির পতুল,
এমনি ভাবে ধিরেধিরে ওরাও একদিন দৈত্যাকার হইয়া গেল.!
চলমান
Views: 32