দশবছরে আমরা
____পারভীন আক্তার
প্রিয় রাহুল,
তোমার বাসস্থানের ঠিকানা না জানলেও হৃদয়ের ঠিকানা হৃৎস্পন্দনেই আছে।ভালোবাসা প্রকাশ না করেও যে ভালোবাসার শেকড় পাহাড়ের বুক চিরে সমুদ্র ছুঁয়ে দিতে পারে,সেটা তোমার মতো সমুদ্রের ঢেউ তোলা হৃদয়ের পক্ষেই সম্ভব।তোমার জন্য রইল এক সমুদ্র ভালোবাসা।
হেমন্তের সবুজের মাঝে ঢেউ খেলে যায় দুটি হৃদয়ের ঠিকানা,সোনালি ফসলের আশে।ভালোবাসা টিকিয়ে রাখতে যে মনজোর লাগে সেটা দু’জনেরই আছে।তোমার হৃদয় মলাটে সঁপেছি মনুষ্যজন্ম।বন্ধ ঘরের জানালা খুলে গেল কোথাও তোমার যাদুকর কণ্ঠস্বর শুনতে পেয়ে।হলুদ সর্ষে ক্ষেতের অজানা দোলায় হৃদয় দুলিয়ে গেল। সৃষ্টিকর্তার কোমল স্পর্শে তোমার হৃদয়ের সৃষ্টি। বিস্ময়কর তোমার হৃদয়ের অমোঘ টান।
তোমার এই অপার ভালোবাসার রহস্যে উন্মোচন করতে একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই পারেন।ভালোবাসা যে পবিত্রতম জ্ঞানের অধ্যায় এটা তোমার থেকেই শুরু হোক এই ধরণীর বুকে নতুন পদযাত্রা। তোমার সুস্থতা সৃষ্টার হাতেই সমর্পণ করি।
—তুমি আমার কবিতার উন্মাদনা……
—তুমি আমার সমস্ত সৃষ্টি ও শিল্পের যাতনা…….
—তুমি আমার সুখের ঠিকানা……..
—তাইতো প্রতিটি মূহুর্তে তোমায় ভালোবাসি……
—প্রতিদিন তোমার প্রেমে পড়ি……..
—প্রতিদিন তোমার প্রেমে পড়ি প্রিয়
—প্রতিদিন তোমার প্রেমে পড়ি…..
হৃৎপিণ্ডের রক্তস্রোত থেকে কিছু ভালোবাসা পাঠালাম, হেমন্তের নরম রোদ্দুর হয়ে ছুঁয়ে থেক প্রিয়। এমন অনুপম দিনে চিঠিটি পৌঁছে দিলাম উড়ন্ত ডাকপিয়নের ঠিকানায়।মূহুর্তের মধ্যে পৌঁছে যাবে তোমার যাদুকর হৃদয় ডাকবাক্সে। এবার তাহলে হৃদয়ের ঠিকানায় চিঠি দিও।
ইতি—
নদী
Views: 25