অবাক পৃথিবী
________নাহিদ ফারজানা সোমা
মহিলা ভয়াবহ মোটা। প্রতি মাসেই আসেন। হেয়ার ট্রিটমেন্ট,ফেসিয়াল,ম্যানিকিওর,পেডিকিওর সব করেন। আর এসেই রাবুর খোঁজ।
“ওই, রাবু নাই আইজক্যা?ওরে ডাক্। ”
চুলে তেল লাগানো, হেয়ার প্যাক বানানো, মাথায় লাগানো,শ্যাম্পু করা, ফেসিয়াল সব রাবুকে এক হাতে করতে হয়, হাতের পরিচর্যাও।
“ওই রাবু,পিঠ ভাল করে মাসাজ কর। এত ফাঁকিবাজি করস ক্যান,ছেড়ি?”
“দশ মিনিট করলাম তো আন্টি।”
“আরও কর।”
দুই বগলে রীতিমতো জঙ্গল।
“আন্টি, এইসব পরিষ্কার করে আসলে কাজে সুবিধা হয়।”
“কিরিম লাগা,কিরিম দিয়া ওঠা।”
“তাহলে বাড়তি টাকা লাগবে কিন্তু।”
“কি কস?ফাজলামি করস? এইডা মেনিকিউরের মধ্যে পড়ে।”
হাতির পায়ের মত দুই হাত।ম্যাসাজ করতে করতে রাবুর রীতিমতো হাঁপানি উঠে যায়।
“রাবু, পা টাও তুই সাফ করে দে। অন্যগুলায় আরও ফাঁকিবাজ। ”
“এটা সম্ভব না, আমাকে অন্য কাস্টমারদেরও দেখতে
হয় আন্টি।”
“ও,তুই হইলি সর্দারনি? পা সাফ করা তোর কাম না?
সম্মান নষ্ট হয়?”
রাবু গোপনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। কিছু মানুষের টাকার পাহাড় আছে, কিন্তু বিবেক বা রুচির বালাই নেই।
মাঝারি মানের পার্লারে ম্যানেজার হয়ে কত রকম মানুষ যে দেখলো রাবেয়া!
বেশিরভাগ কাষ্টমার চুপচাপ থাকে, কাজ শেষ হলে টাকা মিটিয়ে চলে যায়।একটা দল আছে,যারা টাকা দেওয়ার সময় বড় ঝামেলা করে। যেন বাজারে মাছের দরদাম করতে এসেছে। কেউ কেউ আছে,যাদের কিছুই পছন্দ হয় না,
“দুই ভুরু সমান হয়নি,”
“চুল কি এইভাবে কাটতে বললাম? এত ছোট করে ফেললে কেন? তোমার মালিকের নাম্বার দাও,অকাজের লোক রেখেছে কতগুলো।”
মালিক হলেন আরেক বিচিত্র মহিলা। বড় ব্যবসায়ীর বৌ। পার্লারে সপ্তাহে দুই-তিন দিন পা ফেলেন,কর্মচারীরা তটস্থ হয়ে থাকে।
” মাসাজ ক্রীম এত কম কেন রে? এত কম হওয়ার কথা না। শ্যাম্পুও দেখি অনেক কম। কি রে রাবু, এই ফাঁকে নিজেদেরও বিনা পয়সায় রূপচর্চা হয়ে যায়? তোরা কি মনে করিস,আমি বুঝিনা কিছু?চোরের দল।”
রাবু লিষ্ট ধরে সব বুঝিয়ে দিতে চায়। কিন্তু নীপা ম্যাডামের বুঝে নেওয়ার ইচ্ছা কম, কথা শোনানোর ইচ্ছা বেশি।
“ওই লিষ্ট আমার ব্যাগের মধ্যে রাখ্।পরে ঠান্ডা মাথায় মিলিয়ে দেখব।
শেলী, ভাল করে চা বানায়ে আন্।
রাবু, মাথায় একটু বিলি কেটে দে। পরে হেয়ার ট্রিটমেন্ট করে দিস। ফেসিয়ালও করা লাগবে। ওই ক্রীম আমাকে দিস না। আমার ব্যাগ খোল্, ওইখানে ক্রীম আছে। মীনা, গামলায় গরম পানি আন। পায়ের যন্ত্রণায় বাঁচি না।”
মাথায় বিলি কাটতে কাটতে মৃদু স্বরে রাবু বলে,” ম্যাডাম, রান্নার তেল লাগবে।”
“রান্নার তেল লাগবে মানে? তেল কি কাঁচা খাস নাকি মাথায় মাখিস?”
“দুই লিটার তেল একমাস আগে দিয়েছিলেন, ”
“পরে আবার কিনে দিলাম না?”
“না ম্যাডাম।”
“তোদের নোলা এত বেশি কেন রে? কত টাকা মাসে তোদের পেছনে খরচ হয়,জানিস? পরের টাকায় খাস,কোন হিসাব-নিকাশের ধার-ধারিস না।”
মুক্তা রাগী মেয়ে। সে বলে ওঠে,”ও ম্যাডাম,পরের টাকায় খাই না। নিজের পরিশ্রমের টাকায় খাই। সেই সাত সকালে উঠে রাত বারোটায় ঘুমাই। খাওয়ার খরচ যা দেন,তাতে শুধু শাক-ভাত জোটে। বেতন এত কম কোন পার্লারে দেয় না।”
“থাপড়ায়ে দাঁত ফেলে দিব। না পোষায়, চলে যা হারামজাদী। ভাত ছড়ালে কাকের অভাব হয়না। ”
“যাব, কাজ জানলে ভাতের অভাব হয় না। বৈশাখী পার্লার এর চেয়ে বেশি সুবিধা দিয়ে রাখবে। আমাকে বৈশাখী ম্যাডাম দেখা করতে বলেছে।”
মালকিনের মুখ একটু ফ্যাকাশে হয়ে যায়। নতুন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। পেলেও এত কম বেতনে কেউ কাজ করবে না।
“তাতো যাবিই,তোদের যতই মায়া করি, তোরা আমাকে মায়া করিস না।নিজের মানুষ ভাবিস না। তোদের শুধু বকা ই দেই,আদর করিনা,তাইনা? বাড়িতে মা বকা দেয় না? তখনও এমন রেগে যাস?”
সবাই সবকিছু বুঝে, কিন্তু কথা বাড়াতে ইচ্ছা করে না।
“রাবু,কারেন্টের বিল অনেক বেশি আসে। কাস্টমার ছাড়া ফ্যান- এসি ছাড়বি না। তোরাতো কোন সুযোগ ছাড়িস না। আর মুক্তাটাকে চোখে চোখে রাখিস।”
মালিক ও ম্যানেজারের গোপন বৈঠকে নীপা ম্যাডাম বলেন।
রাবেয়ার ক্লান্তি লাগে। মায়ের কথা মনে হয়। মায়ের থালায় একমুঠো ভাত থাকলেও কারোর দরকারে তিনি হাসিমুখে আধামুঠো দিয়ে দিতে পারেন, ক্ষুধার্ত কুকুর-বেড়ালকেও।রাবুরাও পারে।মা-বাবার কাছে শেখা।
এই দামি শাড়ি-গয়না পরা মানুষগুলোকে তার ভিন গ্রহের জীব মনে হয়।
মুক্তা রাবুকে একা পেয়ে কাছে আসে। গলা নামিয়ে বলে,”বৈশাখী পার্লারে চলেন চলে যাই । ওদের ম্যাডাম আপনার কথাও বলেছেন। উনি আপনাকে চান।”
“কি দরকার মুক্তা?ওখানে কি বেশি ভালো থাকবো?”
” থাকবেন।বেতন দেড় হাজার বেশি। ”
“না রে মুক্তা,আমি যাব না। এখানে তাও সম্মান নিয়ে আছি,ওখানে কি অবস্থা তাতো জানিনা রে।”
“মান-সম্মান নিয়ে আছেন? কথায় কথায় চোর বলে, সারাক্ষণ সন্দেহ করে আমরা বেশি খেয়ে ফেললাম,
হেয়ার ট্রিটমেন্ট-ফেসিয়াল করে উনার সব ক্রীম,শ্যাম্পু,তেল খরচ করে ফেললাম, কাষ্টমার না থাকলেও আমরা এসি ছেড়ে নাকি হাত-পা ছড়িয়ে ঘুমাই, না রাবু আপা, এই নীপা ম্যাডাম মানুষটা একদম ভাল না। আর এত অল্প পয়সা কেউ দেয় পাঁচটা লোকের খাওয়ার জন্য?টাকাতো কম না। যখন আসে,তখনই তো নিজের ফুটানি দেখিয়ে যায়। ”
কথা সত্য। রাবুরও এই বিষয়টা খারাপ লাগে। অভাবী মানুষের সামনে নিজের স্বচ্ছ্বলতা দেখানো।
“রাবু, বল্ দেখি, এই শাড়িটার দাম কত?”
“আমার ধারণা নাই ম্যাডাম।”
“আহা,আন্দাজ কর না?”
“দশ হাজার?”
“হা,হা,হা,চল্লিশ হাজার।এক টাকাও কম না।”
আরেকবার সবাইকে ডাকাডাকি করে বললেন,
“এই তোরা দেখে যা, চুড়িগুলো কেমন হল? ছয়টা চুড়ি নয় লক্ষ। লাল পাথরগুলো অরিজিনাল চুণি।”
যাদের খাবার জোটাতেই হিমসিম অবস্থা, তাদের সামনে এসব নিয়ে আলোচনা নিষ্ঠুরতা বৈকি।
মুক্তা তখনও গছগজ করে যাচ্ছে।
“রোজার মধ্যে কেমন গাধার মতো খাটায়। ইফতারটাও ঠিক করে করতে দেয় না। কাষ্টমার আসলে বসায়ে রাখা যাবে না।আরে, আমাদের ইফতারের জন্য দশ মিনিট টাইমও দিবি না তোরা?আমাদের নামাজ কালাম নাই? ঈদের দিন ভোর বেলায় ছুটি দেয়, গতবার আমি সন্ধ্যায় বাসায় গেলাম।আমাদের বাপ-মা নাই?”
” তোর বৈশাখী পার্লারেও একই ঘটনা ঘটে।”
“আমি ওইখানেই যাব। দেড় হাজার বাড়তি টাকা আমার জন্য অনেক।”
মুক্তা চলে যায় বৈশাখীতে।
” রাস্তার মেয়েদের কাজই তো এই।আজ এই পার্লারে,কাল ঐ পার্লারে। ছাল উঠা কুত্তা।” নীপা ম্যাডামের খেদোক্তি।
রাবুর সামনে নিশ্চিন্তে এইসব কথা বলা যায়।ফোঁস করে উঠবে না, টরটর করে কথা বলবে না। সর্বংসহা ধরিত্রী।
আজ রাবু মুখ খুললো। শান্ত গলায় বললো,”মুখ খারাপ করে কথা বলবেন না। আমার বাবা গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের টিচার ছিলেন, উনার স্ট্রোক হওয়ায় আমাদের এই দুরবস্থা। বাবার মতো সৎ, মায়ের মতো ভাল মানুষ আমি দেখিনি। আমি বি.এ পড়ছিলাম, আমার ভাই-বোনরাও স্কুল-কলেজে পড়ে, আপনি আমাদের রাস্তার কুকুর বলতে পারেন না।”
“আরে বোকা,তোকে বলেছি নাকি?”
“কাউকেই বলতে পারেন না।”
“তোদের সাথে তো এখন থেকে হুজুর,হুজুর বলে কথা বলতে হবে।”
“তার দরকার নেই, তবে আমাদের তুই-তোকারি কেন করেন? আপনার অনেক কাস্টমারও করে। কোন সাহসে?এ কথা বলবেন না যে আদর করে তুই করে বলেন। এটা বলেন তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। আমাদের তুচ্ছ করে কথা বলার কি অধিকার আছে আপনাদের?”
“তুই ও কি বৈশাখীতে চলে যাবি?”
” সুযোগ আছে।আপনি আমাকে না রাখলে চলে যাব “।
“মাথা ঠান্ডা কর। এখান থেকে যাবি কেন?বেতন বাড়িয়ে দিব তোর কয়েক মাস পরেই।”
“বেতনের থেকেও জরুরি,আপনি আমাদের সাথে উল্টো-পাল্টা কথা বলবেন না, আর আমাদের খাওয়া-বিশ্রাম-ছুটি নিয়ে একটু মানবিক চিন্তা-ভাবনা করবেন।আরেকটা ব্যাপার ম্যাডাম, মাসাজ ক্রিমগুলোর ডেট কিন্তু অনেক আগেই পার হয়ে গেছে। আপনাকে অনেকবার বলেছি।”
“ওগুলোর দাম জানিস?আইডিয়া আছে কোনো? মালয়েশিয়া থেকে কেনা।”
“তা হোক! এক্সপায়ার ডেটের ক্রিম মানুষের মুখে লাগাতে আমার বিবেকে বাধে।”
“নিজের পয়সায় কেনা ক্রিম হলে বিবেক ঘুমিয়ে থাকতো।পরের পয়সায় কেনা বলে সততা উথলে উঠছে। বেশি বাড় বাড়িস না। এমন ব্যবস্থা করবো যে ঢাকায় টিকতে পারবি না। মিথ্যা হুমকি দিচ্ছি না কিন্তু। পরে বাড়িশুদ্ধ উপোস করে মরবি। ”
রাবেয়া চুপ করে যায়। ঢাকায় তার থাকার কোনো জায়গা নেই পার্লারের এই রুমটা ছাড়া। মা ঘরের কাজের পাশাপাশি সেলাই মেশিনে কাজ করেন। তাতে আয় হয় খুবই কম। রাবেয়া গ্রামে টিউশন করার পাশাপাশি নিজের পড়া চালিয়ে যেতে চেয়েছিলো। সম্ভব হয়নি। কোনো উপায় না পেয়েই সে এই পার্লারে যোগ দিয়েছে। নীপার এক আত্মীয়ের বাড়ি রাবেয়াদের গ্রামে। সেই সূত্রে পরিচয়।
রাত দশটা বাজে। ক্ষিধে লেগেছে প্রচণ্ড। সেই সকালে একটা কেনা পরোটা আর এক কাপ চা, দুপুরে আলুভর্তা, একটু ডাঁটা শাক আর ডাল, সন্ধ্যায় পাশের দোকানে ভাজা ছোট একটা পুরি। সারাদিন খুব বেশি মেহনত গেছে। তিনটা হেয়ার ট্রিটমেন্ট, পাঁচজনের ফেসিয়াল, এক বৌকে সাজানো একা হাতে করেছে রাবু। তারপরে মালকিনের সাথে বৈঠক, টাকা পয়সা,মালপত্রের হিসাব দেওয়া।ম্যাডাম উঠার নাম করছেন না। আজ নিজের গাড়িতে আসেন নি। স্বামী ব্যবসার কাজ সেরে বৌকে তুলে নিয়ে যাবেন।
“ম্যাডাম, আমাদের সাথে চারটা ভাত খান।”
“আরে নাহ্। বরং ভালো করে এক কাপ চা বানিয়ে দে। তোদের স্যারের আসতে নাকি আরও ঘন্টা দুয়েক লাগবে। রাবু, তুই নিজে আমার হেয়ার ট্রিটমেন্ট আর ফেসিয়াল করে দে। আমার বড় ব্যাগটা দে, ঐ চেইনটা খোল্,ভেতরে শ্যাম্পু, হেয়ার অয়েল, ক্রিম,চিরুণী,তোয়ালে সবই আছে। চুলের প্যাকটা ভালো করে বানাস রাবু। দুইটা ডিম দিস। ভিটামিন ই ক্যাপসুল ঐগুলো দিস না। দেখি,আমার কাছে থাকার কথা। অ্যাই রিপা, পায়ের পুরানো নেইলপলিশটা তোল্, তারপরে পা টা পরিষ্কার করে দে। সময়টা কাজে লাগাই।”
ম্যাডাম সময়টা কাজে লাগাতে লাগলেন। ফেসবুকিং করতে চাচ্ছিলেন কিন্তু আরামে চোখ বুঁজে আসছে। তাঁর পেলব পা দুটো শ্যাম্পু গোলা কুসুম গরম পানিতে ডুবানো, সেগুলো ঘষে মেজে পরিষ্কার করছে ক্ষুধার্ত রিপা, কিছুক্ষণ আগে ঘুমে ঢুলছিলো। সেই সকালে ঘুম থেকে উঠে পুরো পার্লার ঝাড়ামোছা, আর মানুষের পা পরিষ্কার করা।আজ সারাদিনে বারোজনের পেডিকিওর করেছে। গামলার পানি বারবার পাল্টাতে পাল্টাতে আর উবু হয়ে কাজ করতে করতে এখন সোজাসাপটা চলতে কষ্ট হয়। রাতে ব্যথায় মাঝেমধ্যে ঘুম আসেনা। ম্যাডামের পেডিকিওর করার থেকে এভারেস্টে ওঠা সোজা। “পানি পাল্টা, পানি বেশি গরম হয়ে গেছে, এ কি করলি,পানি তো এখন বরফ, কি কাজ শিখেছিস! ফাঁকিবাজ। আরও শ্যাম্পু মেশা। পা এই ভাবে ঘষে? পানি আবার পাল্টে আন।”
চুলে গরম তেল ম্যাসাজ করে দিয়েছে রাবেয়া। হেয়ার ট্রিটমেন্ট আর ফেসিয়ালের যোগাড় যন্ত্র করছে ক্লান্ত হাতে। এটা একদিনের চিত্র নয়,প্রায়ই নীপা ম্যাডাম এভাবে স্বেচ্ছাচারিতা চালান।
“রাবু, প্যাকটা দেওয়ার আগে চুলে আরেকটু বিলি করে দে না,সোনা।”
” স্যরি ম্যাডাম, আমার খুব খিদে লেগেছে। আমি আপনার মাথায় প্যাক দিয়ে খাবার গরম করবো, তারপর খেতে বসবো। রিপা,অনেক ঘষা হয়েছে, তাড়াতাড়ি কাজ কমপ্লিট কর। খেয়ে নিয়ে শুয়ে পড়। ম্যাডাম,আজ আপনার ফেসিয়াল করতে পারবো না। আমি ভীষণ টায়ার্ড। ”
” কষে এক থাপ্পড় লাগাবো। খুব সাহস বেড়েছে! আমার মুখের উপরে না করিস। আমার কথার উপরে কথা বলিস। রিপাকে হুকুম দিস পেডিকিওর তাড়াতাড়ি করতে! মালিক কে?তুই না আমি? ফকিরের মেয়ের এতো সাহস! ”
” শিক্ষা আর ভদ্রতাবোধ আছে বলে আপনাকে কষে একটা চড় দিলাম না। খুব নোংরা পরিবারের মেয়ে আপনি,আচরণেই তা পরিষ্কার। আমরা যে তিনজন আছি এখানে,তিনজনই খাওয়া দাওয়া করে বের হয়ে যাবো। আমরা খাটতে পারি,কাজের অভাব আমাদের হবে না। আপনার পার্লারে যাতে শিগগিরই তালা ঝোলে,বিশ্বাস করেন,সেই ব্যবস্থা আমি করবোই। ”
নীপা হতভম্ব হয়ে শুনছেন। রাবু নিজেও কম অবাক না। মনে হচ্ছে,ভয়-ভীতি আর সংকোচকে অগ্রাহ্য করে যে কোন বাধা-বিপত্তিকে জয় করতে পারবে সে। নইলে শান্ত ভাবে, চেঁচামেচি না করে দৃঢ় গলায় এতগুলো ন্যায্য কথা বলে ফেলা যায়?
সমাপ্ত।
Views: 20