কুয়াশা কাটুক সূর্যটা হাসুক
______নাজনীন নাহার
যে যার মতো কাঁপছে ভীষণ শীতে,
যে যার মতো কুয়াশা মাপছে একান্ত গোপন প্রীতে।
প্রকৃতির মতো স্তব্ধতায় কাতর সম্পর্কের অবনতি,
বোধের বিস্তারে যে যার মতো খামখেয়ালী মতিগতি।
রোদ ঢেকে রেখে কুয়াশার মেঘ ছুটি দিয়েছে আলো,
শীতার্ত সড়ক, কাকের শরীর কোথাও কেউ নেই ভালো।
পথের কবিরাজ শীত খোঁজেনি শীত খুঁজেছে অট্টালিকা,
কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়ার দাপটে পলিথিনের ছাদ ফাঁকা।
চড়ুইদের ঠোঁটে জমেছে বরফ কিচিরমিচির শব্দ নাই,
প্রকৃতি কিংবা ঈশ্বর খেলা খেলে শাস্তিটা সকলে পাই।
ধর্ম, কর্ম, দর্শন বলে বেশি বাড়াবাড়ি ভালো নয়,
হে নির্বোধ মগজ তবু কেন বেশি চাও ভুলে পরিনতির ভয়!
দুদণ্ড কাঁপছ হিমের প্রতাপে প্রাসাদে, কম্বলে তুমি আমি,
পথের শিশু, কুলি, মজুর, বৃদ্ধের কাঁপুনিটাও কিন্তু দামী।
আমিত্ব বোধের সাজসজ্জায় ডুবে আছি উত্তর আধুনিক মানুষ,
শীত, বৃষ্টি, কুয়াশা, শিশির চেয়ে চেয়ে উড়াই ফুর্তির ফানুস।
সকলের, পরের, প্রত্যেকের তরে নিবেদিত হতাম যদি,
নিজের জন্য যখন যা খুশি তা চাইতাম না নিরবধি।
আমার বিলাসে অপরের বিনাশ তবুও খেয়ালে মাতি,
কুয়াশা কাটুক সূর্যটা হাসুক পুনরায় রাঙুক প্রভাতি।
Views: 24